স্টেডিয়াম থেকে: আর কিছু পরেই বঙ্গবন্ধু গোল্ডকাপের ফাইনাল ম্যাচে মুখোমুখি হবে বাংলাদেশ বনাম মালয়েশিয়া। কিন্তু মাঠে বল গড়াবার তিন ঘন্টা আগেই দুপুর দুইটায় খুলে দেয়া হয়েছে গেট।
বঙ্গবন্ধু স্টেডিয়ামের আবাহনী-মোহামেডান গ্যালারি ঘন্টা খানেকের মধ্যেই পরিপূর্ন হয়ে যায়। খালি হাতে আসেনি তারা। ঢাক-ঢোল-ভুভুজেলা নিয়ে উপস্থিত তারা। অনেকেই গালে ট্যাটু করেছেন প্রিয় বাংলাদেশের পতাকার। অনেকেই গায়ের জামাটাই পরেছেন লাল-সবুজের রং মিশিয়ে। অনেকের হাতেই শোভা পাচ্ছে বাংলাদেশের পতাকা। অনেকে পুরো গায়ে রয়েল বেঙ্গল টাইগারের ডোরাকাটা দাগ কেটেছেন।
ব্রাক বিশ্ববিদ্যালয়ের বেশ বড় একটি গ্রুপ খেলা দেখতে এসেছে। এর আগে কখনই এভাবে ফুটবল ম্যাচ দেখতে আসেনি কেউ। যতবার মাঠে এসেছে প্রতিবারই ক্রিকেট খেলা দেখতে মাঠে এসেছিল।
এবারই প্রথমবারের মতো ফুটবল খেলা দেখতে মাঠে এসেছে। বাংলাদেশ ফুটবল দলের কোন তারকা ফুটবলারকে আপনারা চিনেন প্রশ্ন করতেই যেন খানিকটা বিপদে পড়ে গেল সবাই। তখনি ত্রাতার রূপে এগিয়ে আসলো থার্ড সেমিস্টারের ছাত্রী সামিয়া বিনতে। জানালেন ওয়াহেদ ও তকলিসকে চেনেন তিনি।
ফুটবলের টানে ঘরে থাকা দায়। ছোট বাচ্চা কোলে নিয়েও অনেকেই মাঠে প্রবেশ করেছে। অনেক বয়স্ক মানুষ খেলা দেখতে এসেছেন। তেমনি একজন পুরান ঢাকার ওয়ারী প্রবাসী জানে আলম। ৫৮ বছর বয়সী এই ভদ্রলোক জানালেন, 'আগে প্রায়ই মাঠে এসে খেলা দেখতেন। এখন আর আগের মতো আসা হয় না। ' তার বড় ছেলে বাবার ফুটবল প্রেম সম্পর্কে অবগত, তাই লাইনে দাঁড়িয়ে একটি গ্যালারি টিকিট কিনে দিয়েছেন তাকে। তবে জানে আলম জানালেন, 'এভাবে আয়োজন হলে অবশ্যই মাঠে আসবেন। ' ফুটবল প্রেম বলে কথা!
৪ বছরের নাফিসকে নিয়ে মাঠে এসেছেন গৃহবধু নাদিয়া সুলতানা। ঢাকা বিশ্ববিদ্যায় থেকে স্নাতক সম্পন্ন করা এই গৃহিনী এখন সামলাচ্ছেন ঘর বাহির দুটোই। জানালেন, 'বড় ভাইয়ের সাথে খেলা দেখতেন। বিয়ের পর তেমন সময় পান না। ' তবে ফুটবল বিশ্বকাপের অনেক ম্যাচই তিনি টেলিভিশনে দেখেছেন। তার সাথে পরিবারের আরো তিন জন এসেছেন।
রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত দুই দলই ঘাম ঝরিয়ে নিচ্ছে ম্যাচের আগে। বঙ্গবন্ধু জাতীয় স্টেডিয়ামের মাঠের দুই পাশে অনুশীলনরত আছে তারা।
বাংলাদেশ সময়: ১৬২৫ ঘণ্টা, ০৮ ফেব্রুয়ারি ২০১৫