ঢাকা, সোমবার, ১০ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৫ নভেম্বর ২০২৪, ২৩ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

খেলা

কষ্টটা আমার অনেক বেশি: ক্রুইফ

স্পোর্টস করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ২১২২ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ৮, ২০১৫
কষ্টটা আমার অনেক বেশি: ক্রুইফ ছবি: শোয়েব মিথুন/ বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম

ঢাকা: প্রথমার্ধের মাথায় দুই গোলে পিছিয়ে পড়া বাংলাদেশ দ্বিতীয়ার্ধে আবারো ম্যাচে প্রত্যাবর্তন ঘটে। এরপর যেন পুরো স্টেডিয়াম জয়ের স্বপ্নে বিভোর।

কিন্তু ইনজুরি টাইমে স্বপ্নভঙ্গ। বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক গোল্ডকাপে মালয়েশিয়া অনূর্ধ্ব-২৩ দলের কাছে ৩-২ গোলে হেরেছে বাংলাদেশ।

নির্ধারিত সময় শেষে রেফারির বাঁশি বাজতেই বঙ্গবন্ধু স্টেডিয়ামে এক অন্য পরিবেশের সৃষ্টি হয়। কেউ মাটিতে লুটিয়ে পড়েছে, কারো চোখ দিয়ে ঝরছে অঝোর ধারা। এর থেকে বড় কষ্ট আর কী আছে এই দুনিয়ায়।

ম্যাচ শেষে সেই হতাশা শোনা গেল বাংলাদেশের কোচ লোডভিক ডি ক্রুইফের কন্ঠেও। ‘এটা মেনে নেয়া যায় না। আপনি পুরো ৯০ মিনিট দুর্দান্ত খেলেছেন। কিন্তু শেষ মুহূর্তের গোলে হেরেছেন। এটা সত্যি অনেক কষ্টের। কেবল ফুটবলারদের জন্য নয়, বাংলাদেশের মানুষের জন্যও এটা বড় কষ্টের বিষয়। '

তিনি আরো বলেন, '৩-০ গোলে হারলে আমি কষ্ট পেতাম না। মনে হতো আমরা লড়াই করতে পারিনি। কিন্তু শিরোপা জেতার জন্য একটি দলই খেলেছে, সেটা বাংলাদেশ। এই জন্য কষ্টটা আমার বেশি। ’

তিনি আরো বলেন এই কষ্ট কখনো ভুলবোনা, ‘আমার কোচিং ক্যারিয়ারে এটা ট্র্যাজিক ম্যাচ। আসলে চ্যাম্পিয়ন হওয়ার জন্য আমার ছেলেরা দুর্দান্ত খেলেছে। কিন্তু ভাগ্য আমাদের সহায় ছিল না। ’

ম্যাচ শুরুর আগে জানা যায়, ইনজুরির কারণে খেলতে পারবেন না লংকানদের বিপক্ষে দুর্দান্ত পারফরম্যান্স করা হেমন্ত ভিনসেন্ট বিশ্বাস। কিকঅফের বাশি বাঁজার পাঁচ মিনিটের মধ্যে চোটের কারণে মাঠ থেকে বের হতে হয় গত তিন ম্যাচের সেরা পারফর্মার জাহিদ হোসেনকে।

এই দুই তারকার কথাটা বলতে ভুলেনি কোচ, ‘এমন গুরুত্বপূর্ন ম্যাচে দু’জন সেরা খেলোয়াড়কে মাঠে না পাওয়া একজন কোচের জন্য নয়, পুরো দলের জন্যই ভয়ানক। তারপরও এ দুই তারকাকে ছাড়া ছেলেরা দুর্দান্ত লড়াই করেছে। প্রথমার্ধে আমরা খারাপ খেলেছি। দ্রুতই দুই গোল হজম করেছি। তবে বিরতির পর দারুণভাবে ঘুরে দাঁড়াই আমরা। এবং অল্পসময়ের মধ্যে দুটি গোল পরিশোধ করি। ’

ক্রুইফ আরো বলেন, ‘প্রথমার্ধে রেফারির ওপর খেলোয়াড়রা রাগান্বিত ছিল। তাদের মনোবলও ভেঙে যায়। তবে বিরতির সময় আমি খেলোয়াড়দের বুঝিয়েছি, রেফারির দিকে মন দেয়ার প্রয়োজন নেই। নিজেদের খেলাটা খেলো। আমার খেলোয়াড়রা সেই কাজটাই করেছে। আমরা গোলও পরিশোধ করেছি। কিন্তু শেষ মুহুর্তের গোলটাই আমাদের হতাশায় ডুবিয়েছে। ’

টুর্নামেন্টের সেরা  খেলোয়াড়ের পুরস্কার জিতলেও মন খারাপ জামাল ভূইয়ার। তিনি বলেন, ‘এটা আমার একান্ত ব্যক্তিগত অর্জন। কিন্তু এ পুরস্কার পেয়েও আমি খুশি হতে পারিনি। আমরা মনটা আজ খুব খারাপ। বাংলাদেশ চ্যাম্পিয়ন হলে টুর্নামেন্টে সেরা হওয়ার পুরস্কারটা আমার জন্য বিশেষ কিছু হতো। এখন আসলে এটা নিয়ে কোনো আগ্রহই নেই আমার। ’

বাংলাদেশ সময়: ২১২৩ ঘণ্টা, ০৮ ফেব্রুয়ারি ২০১৫

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।