ঢাকা: ফ্রান্সের কিংবদন্তি ফুটবলার জিনেদিন জিদানকে অনেকেই পেলে-ম্যারাডোনার পর সবচেয়ে বড় ফুটবল প্রতিভা হিসেবে চিহ্নিত করে থাকেন। ব্রাজিল-আর্জেন্টিনার ওই দুই ফুটবল কিংবদন্তির সমকক্ষ হতে হলে যা যা থাকা দরকার, তার সবটাই ছিল জিদানের মধ্যে।
বর্তমানে রিয়ালের সহকারী কোচের দায়িত্ব পালন করছেন ৪৩ বছর বয়সী জিদান। ফলে, ক্লাবের বর্তমান সেরা দুই তারকা ক্রিস্টিয়ানো রোনালদো এবং গ্যারেথ বেলকে খুব কাছে থেকে দেখার সুযোগ পাচ্ছেন জিদান। রিয়াল মাদ্রিদের সাবেক তারকা জিদান জানিয়েছেন, ক্লাবের বর্তমান দুই সেরা ফরোয়ার্ড রোনালদো এবং বেলকে ক্লাব কর্তৃপক্ষ কখনোই ছেড়ে দেবে না। তারা বিক্রয়ের জন্য নয়।
সম্প্রতি রোনালদোকে নিয়ে গুঞ্জন ওঠে, রিয়াল ছেড়ে ইংলিশ জায়ান্ট ম্যানচেস্টার উইনাইটেডে পাড়ি জমাচ্ছেন। ২০০৩-০৯ সাল পর্যন্ত ম্যানইউতে খেলেছেন পর্তুগিজ এই তারকা।
ফরাসিদের বিশ্বকাপ জেতানো ফুটবলার জিদান এ প্রসঙ্গে বলেন, রোনালদো স্প্যানিশ ক্লাবটি ছেড়ে কোথাও যাচ্ছেনা। সে বিক্রয়ের জন্য নয়। বড় তারকাদের নিয়ে সকলের যথেষ্ট আগ্রহ থাকে। রোনালদোকে নিয়ে আপনারা (সংবাদকর্মী) যা লিখবেন, তাই তার ভক্তরা গ্রোগাসে গিলে খাবে।
রিয়ালের সাবেক তারকা জিদান আরও যোগ করেন, বিশ্বের সেরা ফুটবলার হিসেবে রোনালদো এগিয়ে। কেনো তাকে রিয়াল মাদ্রিদ ছেড়ে দেবে? গত কয়েক বছরে সে বিশ্বের এক নম্বর ফুটবলার, সঙ্গে একজন ‘অবিশ্বাস্য’ ফুটবলারও। রিয়ালের হয়ে কী করতে পারে, তা প্রতিনিয়ত দেখিয়েই যাচ্ছে রোনালদো। তার সম্পর্কে বেশি কথা বলার যেমন প্রয়োজন নেই, তেমনি প্রয়োজন নেই রিয়াল তাকে বিক্রি করে দেবে-একথা বলার।
ফ্রান্সের ১৯৯৮ বিশ্বকাপ জয়ের নায়ক জিদান রিয়ালের ওয়েলস তারকা গ্যারেথ বেলের প্রতিভাতেও মুগ্ধ। বেল প্রসঙ্গে জিদান বলেন, সে রিয়ালের একজন অভিজ্ঞ ফুটবলার। রোনালদোর মতো বেলকেও দলের প্রয়োজন। সেও বিশ্বসেরা ফুটবলার। সান্তিয়াগো বার্নাব্যু ছেড়ে বেল চলে যেতে পারে-এমন খবরে আমরা চিন্তিত নই। কারণ, ওয়েলসের সেরা তারকা আমাদের নিশ্চিত করেছে রিয়াল ছেড়ে সে কোথাও যাচ্ছেনা। আর ক্লাব কর্তৃপক্ষ তাকে অন্য কোনো ক্লাবে বিক্রির কথা চিন্তাও করতে পারেনা।
জাতীয় দল পর্তুগালের হয়ে ৫৫ গোল করা রোনালদো রিয়ালের জার্সি গায়ে দুর্দান্ত করে চলেছেন। স্প্যানিশ জায়ান্টদের হয়ে তিনি ৩১২ ম্যাচে ৩২৫ গোল করেছেন তিনি। বেল রিয়ালের হয়ে ৯৮ ম্যাচে গোল করেছেন ৪১টি।
বাংলাদেশ সময়: ১২১৬ ঘণ্টা, ২৯ অক্টোবর ২০১৫
এমআর