দ্বিতীয়ার্ধের শুরু থেকে ইস্টবেঙ্গলের রক্ষণভাগকে পর্যুদস্ত করে ৩-১ গোলে এগিয়ে গেছে চট্টগ্রাম আবাহনী। টানটান উত্তেজনাপূর্ণ ম্যাচে প্রথমার্ধে পিছিয়ে পড়েও শেষ ৪৫ মিনিটে গোল করে খেলায় ফেরে স্বাগতিকরা।
প্রথমার্ধের ১০ মিনিটে ১-০ গোলে পিছিয়ে পড়া এমিলি জাহিদরা গোল পরিশোধ করেই বিরতিতে যায়। এরপর দ্বিতীয়ার্ধের ৫৪ মিনিটে এলিটা তার দ্বিতীয় গোল করে দলকে এগিয়ে নেন। এর ঠিক দুই মিনিট পরেই মিডফিল্ড থেকে বল টেনে নিয়ে ডিবক্সের ভেতর বল পাঠান নাইজেরিয়ারন তারকা এলিটা কিংসলে। ইস্টবেঙ্গলের দুজন ডিফেন্ডারকে ফাঁকি দিয়ে চট্টগ্রাম আবাহনীর তারকা খেলোয়াড় হেমন্ত দুর্দান্ত হেডে দলকে ৩-১ এর লিড পাইয়ে দেন।
শ্বাসরুদ্ধকর ফাইনাল ম্যাচে ইস্টবেঙ্গলের রক্ষণভাগের খেলোয়াড়দের দৃঢ়তায় বেশ কয়েকবার গোলবঞ্চিত হয় বন্দরনগরীর দলটি। মোহাম্মদ জাহিদ, জাহিদ হোসেন এমিলি ও এলিটার এক একটি আক্রমণ ইস্টবেঙ্গলের রক্ষণভাগ নস্যাৎ করে দেন দারুণ ক্ষিপ্রতায়।
উল্টো ম্যাচের ১০ মিনিটে রক্ষণের ভুলে পিছিয়ে পড়ে এমিলি-জাহিদরা। প্রথম গোলটি হজমের পর খেলার ধরন বদলে ফেলে চট্টগ্রাম আবাহনী। একের পর এক আক্রমণে প্রতিপক্ষের রক্ষণভাগকে ব্যস্ত করে তোলে দেশের ফুটবলের তারকা সমৃদ্ধ ক্লাবটি।
শুক্রবার (৩০ অক্টোবর) সন্ধ্যা ৭টা ৪০ মিনিটে কানায় কানায় ভরপুর বন্দরনগরী চট্টগ্রামের এম এ আজিজ স্টেডিয়ামে শেখ কামাল আন্তর্জাতিক ক্লাব ফুটবলের ফাইনালে মুখোমুখি হয় দুই বাংলার ক্লাব দুটি। বিকেলের বৃষ্টিতে উপেক্ষা করেই খেলা দেখতে আসেন হাজার হাজার ফুটবলপ্রেমী। স্টেডিয়ামের প্রতিটি আসন ম্যাচ শুরুর আগেই পূর্ণ হয়ে ওঠে। ঢাক-ঢোক, করতালিতে শিরোপার প্রত্যাশায় মেতে ওঠেন দর্শকররা।
বাংলাদেশ সময়: ২১০৫ ঘণ্টা, অক্টোবর ৩০, ২০১৫/
এমজেএফ
** এলিটার গোলে সমতায় চট্টগ্রাম আবাহনী