ঢাকা: গোল বিতর্ক এড়াতেই গোল লাইন প্রযুক্তির আবির্ভাব। লা লিগা বাদে ইউরোপের প্রায় সব শীর্ষস্থানীয় লিগ ফুটবলে ইতোমধ্যেই এর ব্যবহার শুরু হয়েছে।
শুধুমাত্র চ্যাম্পিয়নস লিগই নয়, আরেকটি মর্যাদাপূর্ণ আসর ইউরোপা লিগেও গোল লাইন প্রযুক্তি সংযুক্ত করা হতে পারে। ২০১৬ সালের জানুয়ারিতে এ বিষয়ে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেবে উয়েফার নির্বাহী কমিটি।
প্রিমিয়ার লিগ, বুন্দেসলিগা, সিরি আ ও ফ্রাঞ্চের লিগ ওয়ান কর্তৃপক্ষ নিজস্ব ব্যবস্থাপনায় গোল লাইন প্রযুক্তি ব্যবহার করছে। সব ঠিক থাকলে আগামী মৌসুম থেকেই চ্যাম্পিয়নস লিগ ও ইউরোপা লিগ এর আওতায় আসবে। শুধু তাই নয়, ফ্রান্সে অনুষ্ঠেয় ২০১৬ ইউরো টুর্নামেন্টেও এ প্রযুক্তি ব্যবহারের সম্ভাবনা রয়েছে।
অবশ্য, নিষেধাজ্ঞায় থাকা উয়েফা প্রেসিডেন্ট মিশেল প্লাতিনি এর আগে গোল লাইন প্রযুক্তির পক্ষপাতী ছিলেন না। তিনি এর বিকল্প হিসেবে গোলপোস্টের পেছনে পঞ্চম অফিসিয়াল বা রেফারি রাখার নিয়ম চালু করেন। কিন্তু, বল গোল লাইন সম্পূর্ণ অতিক্রম করেছে কিনা তা নিশ্চিত হতে গোল লাইন প্রযুক্তি ইতোমধ্যেই জনপ্রিয়তা পেয়েছে।
এর আগে ব্রাজিলে অনুষ্ঠিত ২০১৪ ফিফা ফুটবল বিশ্বকাপ ও কানাডায় ২০১৫ ফিফা নারী ফুটবল বিশ্বকাপের মতো বৈশ্বিক ফুটবল আসরে গোল লাইন প্রযুক্তি ব্যবহৃত হয়। ২০১২ সালের জুলাইয়ে ইন্টারন্যাশনাল ফুটবল অ্যাসোসিয়েশন বোর্ড (আইএফএবি) কর্তৃক এটি আনুষ্ঠানিকভাবে অনুমোদন পায়।
বাংলাদেশ সময়: ১৩৫০ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ১২, ২০১৫
আরএম