ঢাকা: জাপানের ইয়োকাহামায় ইউরোপ সেরা বার্সেলোনার বিপক্ষে ফিফা ক্লাব বিশ্বকাপের ফাইনালে মাঠে নেমে দৃঢ়প্রতিজ্ঞ আর্জেন্টাইন ক্লাব রিভারপ্লেট হেরে বসে। দক্ষিণ আমেরিকার চ্যাম্পিয়ন ক্লাবটির বিপক্ষে ম্যাচ শেষে স্পেনের উদ্দেশ্যে যাত্রা করা লিওনেল মেসিকে রিভারপ্লেটের সমর্থকরা অপমান করেন।
মেসি-সুয়ারেজের গোলে গত মৌসুমের ট্রেবল জয়ী বার্সা জয় পায় ৩-০ গোলের ব্যবধানে। ম্যাচ শেষ করে টোকিওর নারিতা বিমানবন্দরে পৌঁছে মেসি বাহিনী।
এ সময় নিরাপত্তারক্ষীদের ফাঁকি দিয়ে বেশ কিছু ফুটবলপ্রেমী মেসিদের ঘিরে ধরেন। আবদার মেটাতে মেসি, সুয়ারেজ, হাভিয়ের মাশচেরানো, দলের কোচ লুইস এনরিক তাদের সঙ্গে সেলফিও তুলতে থাকেন।
এমন সময় রিভারপ্লেটের কিছু সমর্থক বার্সার খেলোয়াড়দের লক্ষ্য করে বাজে মন্তব্য করা শুরু করেন। এক সমর্থক মেসিকে অপমানসূচক কিছু বলে উঠে মেসিকে লক্ষ্য করে ‘থুথু’ ছিটিয়ে দেওয়ার চেষ্টা করেন।
এ সময় আর্জেন্টাইন দল রিভারপ্লেটের ডিরেক্টর পাশেই দাঁড়িয়ে ছিলেন। পরিস্থিতি ঘোলাটে বুঝতে পেরে তিনি সেই উত্তেজিত সমর্থককে সেখান থেকে বের করে দেন।
পরে মেসির পাশে থাকা সুয়ারেজ, মাশচেরানো আর দলের কোচ এনরিক সেখানে উপস্থিত হন। এ সময় সুয়ারেজও উত্তেজিত সেই সমর্থককে শান্ত হওয়ার জন্য অনুরোধ করেন। পরিস্থিতি শান্ত হলে মেসি আবারো রিভারপ্লেটের সমর্থকদের সঙ্গে হাসি মুখে ছবি তোলা শুরু করেন।
ফাইনাল ম্যাচে নিজের দেশের ক্লাবটির বিপক্ষে বার্সার হয়ে প্রথম গোলটি করেন আর্জেন্টাইন দলপতি মেসি। আর ফাইনালের মঞ্চে একটি গোল করেই নতুন একটি রেকর্ডের জন্ম দেন তিনি। তিনটি ক্লাব বিশ্বকাপের ফাইনালে গোল করার অনন্য রেকর্ড গড়েন ফুটবলের এ ক্ষুদে যাদুকর।
পুরস্কার হিসেবে মেসি জিতেছেন সিলভার বল, সুয়ারেজ জিতেছেন গোল্ডেন বল। দানি আলভেস, আন্দ্রেস ইনিয়েস্তা, জেরার্ড পিকে ও সার্জিও বুসকেটসদের সঙ্গে তৃতীয়বারের মতো ক্লাব বিশ্বকাপের শিরোপায় হাত বোলান মেসি।
বাংলাদেশ সময়: ১৯০০ ঘণ্টা, ২১ ডিসেম্বর ২০১৫
এমআর