বঙ্গবন্ধু স্টেডিয়াম থেকে: মালয়েশিয়ার বিপক্ষে খেলার ৫৪ মিনিটে ১-০ গোলে পিছিয়ে যায় বাংলাদেশ। মালয়েশিয়ান ফুটবলার মুহাম্মদ আজমান কর্ণার থেকে পাওয়া বলে পাঁ লাগালে গোল উৎসব করে বঙ্গবন্ধু গোল্ডকাপের বর্তমান চ্যাম্পিয়নরা।
এর আগে বঙ্গবন্ধু গোল্ডকাপে নিজেদের দ্বিতীয় ম্যাচে বাংলাদেশে ও মালয়েশিয়ার মধ্যকার প্রথমার্ধের খেলা গোলশূন্য ড্র হয়েছে। দারুণ উত্তেজনায় ঠাসা এই ম্যাচে এক একটি আক্রমণ রচনা করেও গোলে দেখা পায়নি কোন দল।
বুধবার (১৩ জানুয়ারি ) বঙ্গবন্ধু স্টেডিয়ামে গ্রুপ পর্বে নিজেদের দ্বিতীয় ম্যাচে প্রথমার্ধের শুরু থেকেই আক্রমণের প্রতিযোগিতায় নামে বাংলাদেশ ও মালয়েশিয়া। এই প্রতিযোগিতায় অবশ্য এগিয়ে ছিল মালয়েশিয়া। কেননা প্রথমার্ধের একেবারে প্রথম মিনিটে বাংলাদেশের গোলবারের ডান দিক দিয়ে আক্রমণ রচনা করে কমলা জার্সি ধারীরা। তবে দলটির আক্রমণ ভাগ শেষ পর্যন্ত বলটি ঠিক মত প্লেস করতে না পারায় জালে জড়ানো সম্ভব হয়নি।
এর ঠিক চার মিনিট পর আক্রমণে যায় বাংলাদেশ। মালয়েশিয়ার গোল সীমানার বাঁদিক দিয়ে বেশ গোছালো একটি আক্রমণ করেছিল লাল-সবুজের দল। কিন্তু ডি বক্সের বাইরে থেকে মাসমুলের বাঁ পায়ের শটটি লক্ষ্যভ্রষ্ট হলে গোল বঞ্চিত হয় স্বাগতিকরা। এর পরের মিনিটেই সিয়াহিদ জাইদনের ফ্রি কিক থেকে গোলের সুযোগ পেয়েছিল গেল বারের চ্যাম্পিয়নরা কিন্তু বাংলাদেশ দলের গোলরক্ষক রানা ঝাঁপিয়ে পড়ে বলটি ধরলে নিশ্চিত গোলটি মালয়েশিয়ার থলি থেকে বেরিয়ে যায়।
প্রথমার্ধেই এগিয়ে যাবার দৌঁড়ে আট মিনিটে আরেকবার বেশ গোছালো আরেকটি আক্রমণ রচনা করে মালয়েশিয়া। আর এবারের আক্রমণের নায়ক সিয়ামিম ইয়াহিয়া। কিন্তু শেষ পর্যন্ত তার শটটি ক্রস বারের উপরে লেগে বেরিয়ে গেলে বিপদমুক্ত হয় বাংলাদেশ।
৩৪ মিনিটি গোলের আরেকটি সুবর্ণ সুযোগ হাত ছাড়া করেন আবু সালিমের শিষ্যরা। বাংলাদেশের গোল সীমানার একেবারে সামনে অধিনায়ক শুকুর আদনান হেড থেকে দলকে এগিয়ে নিতে চাইলে লাল-সবুজের দলকে নিশ্চিত গোলের হাত থেকে রক্ষা করেন গোল রক্ষক রানা। এভাবেই আক্রমণ পাল্টা আক্রমণে শেষ হয় প্রথমার্ধ।
বাংলাদেশ সময়: ১৯২৮ ঘণ্টা, ১৩ জানুয়ারি, ২০১৬
এইচএল/এমএমএস