ঢাকা: বছরের প্রথম গ্র্যান্ডস্ল্যাম অস্ট্রেলিয়ান ওপেন দারুণভাবে শুরু করা নোভাক জকোভিচের বিরুদ্ধে পরোক্ষভাবে ম্যাচ পাতানোর অভিযোগ উঠেছে। শুধু জকোভিচের বিপক্ষেই নয়, ম্যাচ পাতানোর অভিযোগ উঠেছে গত এক দশকে র্যকিংয়ের শীর্ষ ৫০ খেলোয়াড়ের মধ্যে থাকা ১৬ জন খেলোয়াড়ের বিরুদ্ধেও।
জকোভিচ তার বিরুদ্ধে ওঠা অভিযোগ সরাসরি স্বীকার না করলেও এই প্রথমবার জনসম্মুখে জানালেন, ম্যাচ পাতানোর জন্য প্রায় দুই লাখ মার্কিন ডলারের প্রস্তাব পেয়েছিলেন তিনি। আট বছর আগে (২০০৭ সালে) বাজিকররা তাকে ওই পরিমাণ অর্থ দিতে চেয়েছিলেন।
অস্ট্রেলিয়ান ওপেনের প্রথম রাউন্ডে দ. কোরিয়ার চুং হাইওনকে হারানোর পর জকোভিচ সংবাদকর্মীদের বলেন, আমি ম্যাচে নামার আগেই শুনেছি ম্যাচ গড়াপেটার দায়ে প্রায় ১৬ জন টেনিস খেলোয়াড়ের দিকে ফিক্সিংয়ের অভিযোগ উঠেছে। তবে, এমন অভিযোগে আমি সক্রিয় নই। যেসব ম্যাচের কথা বলা হচ্ছে সেগুলো প্রায় দশ বছর আগে হয়ে যাওয়া ম্যাচ। অবশ্যই ম্যাচ ফিক্সিং কিংবা দুর্নীতির জন্য কাউকে ছাড় দেওয়া উচিত নয়।
তিনি আরও যোগ করেন, এমন অভিযোগ উঠায় আমি সত্যিই ভীত। কারণ আমি আসলেই এমন বাজে কোনো কাজের সঙ্গে সরাসরি জড়িত ছিলাম না। আমার মনে হয় এটা এক ধরনের অপরাধ। যা আমি কখনই সমর্থন করিনি। বিশেষ করে টেনিসে এমন ধরনের অপরাধ গ্রহণযোগ্য নয়।
উল্লেখ্য, বিবিসি ও ক্রীড়া সংবাদমাধ্যম বাজফিডের দাবি, তাদের কাছে ২০০৭ সালে শুরু হওয়া ম্যাচ গড়াপেটা তদন্তের সব নথিপত্র রয়েছে। ওই তদন্ত শুরু করেছিল পুরুষদের খেলার পরিচালনা বোর্ড অ্যাসোসিয়েশন অব টেনিস প্রফেশনাল (এটিপি)। তবে যে ১৬ জন টেনিস তারকাকে ম্যাচ ফিক্সিংয়ের দায়ে সন্দেহ করা হচ্ছে, তাদের নাম প্রকাশ করা হয়নি।
জানা যায়, অভিযুক্তদের ব্যাংক হিসাব, তাদের ব্যবহৃত ফোন আর কম্পিউটার অনুসন্ধান ছাড়া তাদের নাম প্রকাশ করা সম্ভব নয়।
প্রতিবেদনে দাবি করা হয়, যে ১৬ জন গত দশকে ম্যাচ গড়াপেটা করেছেন, তাদের মধ্যে আটজনই অস্ট্রেলিয়ান ওপেনে অংশ নিয়েছেন। দুর্নীতির বিষয়টি তদন্তাধীন হওয়ায় সন্দেহভাজন কোনো খেলোয়াড় বা বাজিকরের নাম-পরিচয় প্রকাশ করেনি কোনো সংবাদমাধ্যম।
বাংলাদেশ সময়: ১৬৫৮ ঘণ্টা, জানুয়ারি ১৮, ২০১৬
এমআর/এমজেএফ
** ফিক্সিংয়ের অভিশাপ টেনিসেও, সন্দেহভাজন গ্র্যান্ড স্ল্যাম বিজয়ীরাও