বঙ্গবন্ধু স্টেডিয়াম থেকে: ১৯৯৩ সালে ঢাকায় এসএ গেমসের ফাইনালে ভারতকে পেনাল্টি শুট আউটে ৪-৩ গোলে হারিয়ে প্রথমবারের মতো কোন আন্তর্জাতিক ফুটবল শিরোপা জিতেছিল নেপাল। এবার দ্বিতীয়টি এল বঙ্গবন্ধু গোল্ডকাপ ফুটবলের ফাইনালে বাহরাইনকে ৩-০ গোলে হারিয়ে।
তাই এক কথায় বলতে গেলে, রীতিমত ইতিহাস রচনা করে ফেলেছে নেপাল। একেতো ২৩ বছরের অধরা শিরোপা ক্ষরা কাটানো, পাশাপাশি দ্বিতীয়টি হলো, প্রথমেবারের মতো বঙ্গবন্ধু গোল্ডকাপের শিরোপা অর্জন। এমন জয়ের ফলে তাই দারুণ উচ্ছ্বসিত ও উদ্বেলিত নেপাল ফুটবল। আর বঙ্গবন্ধু গোল্ডকাপের এই জয় নেপালের ফুটবলের নতুন দিগন্তের উন্মোচন করবে বলে মনে করেন দলটির কোচ বালগোপাল মহারাজন।
শুক্রবার (২২ জানুয়ারি) ম্যাচ পরবর্তী সংবাদ সম্মেলনে নেপাল কোচ বলেন, ‘এই জয়ে আমরা দারুণ উদ্বেলিত। আশা করছি এই জয় আমাদের দলের ভবিষ্যৎ দিনগুলোকে আরও জয়ের জন্য অনুপ্রাণিত করবে। ’
এই জয় নেপালের ফুটবলে কী প্রভাব ফেলবে? উত্তরে তিনি বললেন, ‘আমার অধীনে এই জয়ের ফলে নেপালের ফুটবলে বিদেশী কোচের উপর নির্ভরতা কমবে। নেপাল ফুটবল ফেডারেশন একটি বিষয়ে নিশ্চিত হয়েছে যে, দেশী কোচেরা কোন অংশেই কম যোগ্য নন। তাদেরও সক্ষমতা আছে দল জেতানোর। ’
আর নেপালের হয়ে এবারের আসরে হ্যাট্টিকসহ সর্বোচ্চ ৫ গোল করা সর্বোচ্চ গোলদাতা নভোইয়ুগ বললেন, ‘আমি ভাবতেও পারিনি যে আমি এতো ভালো খেলবো। যাই হোক, এমন একটি টুর্নামেন্ট খেলতে পেরে এবং সর্বোচ্চ গোলদাতার পুরষ্কার জিতে আমি ভীষণ খুশি। ’
আর অধিনায়ক বিরাজ মহারাজন বললেন, ‘এই টুর্নামেন্টে চ্যাম্পিয়ন হয়ে আমি কথা বলার ভাষা হারিয়ে ফেলেছি। চ্যাম্পিয়ন হতে অবদান রাখায় সতীর্থদের ধন্যবাদ জানাই। ’
বাংলাদেশ সময়: ২০৩৮ ঘণ্টা, ২২ জানুয়ারি ২০১৬
এইচএল/আরএম
** ২৩ বছর পর শিরোপা জিতলো নেপাল
** গোলকি কস্ত, চুম্বক যাস্ত!
** বঙ্গবন্ধু স্টেডিয়ামে প্রধানমন্ত্রী
** বিমলের গোলে প্রথমার্ধে এগিয়ে নেপাল