ঢাকা: চাইনিজ অ্যাথলেটদের বিরুদ্ধে এবার ন্যাক্কারজনক অভিযোগ উঠেছে। তাদের বিরুদ্ধে অভিযোগ উঠে ডোপ কেলেঙ্কারির।
চাইনিজ নিউজ পোর্টাল গুলো এমন অভিযোগের রিপোর্ট প্রকাশ করেছে।
দেশটির সংবাদমাধ্যমগুলো জানায়, তিন হাজার ও দশ হাজার মিটারের রেকর্ডধারী দৌড়বিদ ওয়াং জুনজিয়া ১৯৯৫ সালে একটি গোপন চিঠি লেখেন। সেখানে লেখা ছিল নয়জন সাবেক অ্যাথলেটকে তাদের কোচ মা জুনরেন জোর করে অবৈধ ড্রাগ নিতে বাধ্য করেছিলেন। কয়েক বছর ধরেই তিনি আরও বেশ কিছু অ্যাথলেটকে নিষিদ্ধ পদার্থ সেবনে বাধ্য করেন।
কোচ মা জুনরেনের অধীনে জুনজিয়া মেয়েদের পাঁচ হাজার মিটারের দৌড়ে শিরোপা জেতেন। আর ১৯৯৬ সালে আটলান্টা অলিম্পিকসে দশ হাজার মিটারের বিশ্বশিরোপা জেতেন। তিনি চিঠিতে আরও জানান, মা জুনরেন আমাদের অবৈধ ড্রাগ নিতে বাধ্য করেন। আমরা অ্যাথলেটরা অবৈধ এ কাজ করতে গিয়ে বেশ হতাশ হই। কিন্তু নিজেদের টিকে থাকতে হলে এটা না করা ছাড়া ছিল না। আমরা চাই না আমাদের পরবর্তী জেনারেশন এমন কিছুতে আক্রান্ত হোক।
জুনজিয়ার সেই চিঠিটি চলতি সপ্তাহে একটি স্পোর্টস অনলাইন পোস্ট করে। এরপর দেশটির রাষ্ট্র নিয়ন্ত্রিত চায়না সেন্ট্রাল টেলিভিশন (সিসিটিভি) এ নিয়ে ধারাবাহিক প্রতিবেদন প্রকাশ করে। সেখানে জানানো হয় কমপক্ষে দশজন অলিম্পিক চ্যাম্পিয়ন ও রেকর্ডধারী অ্যাথলেট রাষ্ট্রীয় পৃষ্ঠপোষকতায় ড্রাগ গ্রহণ করেন। যা পুরোপুরি অবৈধভাবে।
রিপোর্ট গুলো প্রকাশের পর ইন্টারন্যাশনাল অ্যাসোসিয়েশন অব অ্যাথলেটিক ফেডারেশন (আইএএএফ) বেশ নড়েচড়ে বসে। এক বিবৃতিতে তারা জানায়, এসব অভিযোগ খতিয়ে দেখা হবে। আর চিঠিটির সত্যতা যাচাইয়ের পর এ ব্যাপারে কঠোর পদক্ষেপ নেওয়া হবে। তবে, তার আগে চাইনিজ অ্যাথলেটিক অ্যাসোসিয়েশনকে তদন্ত প্রক্রিয়ায় সহযোগিতা করতে অনুরোধ করেছে আইএএফ।
বাংলাদেশ সময়: ১৪৪৫ ঘণ্টা, ০৬ ফেব্রুয়ারি ২০১৬
এমআর