ঢাকা: সময়টা যখন খারাপ শফিকুল ইসলাম মানিক তখন ঢাকা মোহামেডান ফুটবল দলের কোচ। খারাপ সময় মোহামেডানের, মানিকের নয়।
অর্থাৎ ২০১২ সালের আগস্ট পর্যন্ত ঢাকা মোহামেডানের ফুটবল দল সামলাবেন মানিক। সোমবার কাবের আহ্বায়ক কমিটির প্রধানসহ বেশ কয়েকজন কর্মকর্তার উপস্থিতিতে চুক্তিপত্রে সই করেন এই কোচ।
স্থায়ী কমিটি নেই। ভালো দল গড়ার মতো অর্থের সংস্থান হয়নি। আগের মৌসুমের তারকা ফুটবলারদের ধরেও রাখতে পারেনি মোহামেডান। ছুটে গেছে শেখ জামাল ধানমন্ডি কাবে। সাধারণ মানের খেলোয়াড় নিয়ে দল সাজিয়েছে। মানিকের দৃষ্টিতে কাগজে কলমে পাঁচ নম্বর দল হয়েছে। এই দল নিয়েই সফল হওয়ার স্বপ্ন দেখেন মানিক। বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম.বিডিকে টেলিফোনে তিনি বলেন,“আমার ওপর আস্থা রেখেছে মোহামেডান। অবশ্যই তার প্রতিদান দেওয়ার চেষ্টা করবো। ”
২০০৫ সালের অক্টোবর থেকে ২০০৮ সালের মার্চ পর্যন্ত মোহামেডানের কোচ ছিলেন মানিক। দায়িত্ব নিয়েই কাবকে উপহার দিয়েছিলেন নিটল টাটা জাতীয় লিগ শিরোপা। এরপর ২০০৭ সালে এবারের মতো ভঙ্গুর একটি দল নিয়ে পেশাদার লিগে রানর্সআপ হয়েছিলেন। সে কথাই মনে করিয়ে দিলেন।
মানিকের দৃষ্টিতে,“মোহামেডানের খারাপ সময়েই আমাকে ডাকা হয়। যেমন টানা তিন মৌসুম যখন শিরোপা বঞ্চিত ঠিক তখনই (১৯৮৬ সাল) আমি মোহামেডানের খেলোয়াড়। ভাগ্যক্রমে সেবারই শিরোপা জেতে। কোচ হিসেবেও একই অবস্থা। অতএব খারাপ সময়ের চ্যালেঞ্জ নিয়ে আমি অভ্যস্ত। ”
মানিক একা নন। তাকে সাহায্য করার প্রতিশ্রুতি দিলেন কাবের আহ্বায়ক কুতুবউদ্দিন আহমেদ। বলেন,“মোহামেডন ঐতিহ্যবাহী একটি দল। ভালো খেলোয়াড়রা সবাই চলে গেছে। তার পরেও ঘাটতি মেটাতে চেষ্টা করবো আমরা। ভালো মানের বিদেশি খেলোয়াড় এনে ঘাটতি পোষাবো। ”
জাতীয় দলের সাবেক ফুটবলার সালাম মুর্শিদীও আশ্বস্ত করলেন মোহামেডান ঘুড়ে দাঁড়াবে,“এতদিন সাংগঠনিক দুর্বলতা ছিলো। খেলোয়াড়দের প্রারিশ্রমিকের টাকা পরিশোধ নিয়ে দুর্নামও ছিলো। এখন একটি ভালো দল গড়ার চেষ্টা করবো। ”
বাংলাদেশ সময়: ২২২৩ ঘন্টা, আগস্ট ২৩, ২০১০