ঢাকা, বুধবার, ২৮ কার্তিক ১৪৩১, ১৩ নভেম্বর ২০২৪, ১১ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

খেলা

গাংনীতে পাওয়ার টিলার প্রতিযোগিতা, পুরস্কার খাসি

ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৫১৩ ঘণ্টা, জানুয়ারি ৮, ২০২২
গাংনীতে পাওয়ার টিলার প্রতিযোগিতা, পুরস্কার খাসি

মেহেরপুর: পার্শ্ববর্তী জেলা চুয়াডাঙ্গার আলমডাঙ্গা উপজেলার কলাবাড়িয়া গ্রামের পাওয়ার টিলার চালক জুয়েল হোসেন, দেলোয়ার হোসেন, আলমডাঙ্গার হারদী গ্রামের রুবেল হোসেন, হাটুভাঙ্গা গ্রামের সবদেল মণ্ডল, মুজিবনগর উপজেলার রুইতনপুর গ্রামের হুসাইন হোসেন, সদর উপজেলার বর্শিবাড়িয়া গ্রামের লিখন আলী ও তারিক হোসেন, কচুইখালি গ্রামের লবলু হোসেনসহ ৩২ জন চালক এসেছেন পাওয়ার টিলার নিয়ে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করতে।

এ খেলার আয়োজন করে হাড়িয়াদহ দক্ষিণপাড়া যুব সমাজ।

শনিবার (০৮ জানুয়ারি) সকাল থেকেই গাংনী উপজেলার হাড়িয়াদহ গ্রামের হাটখোলা মাঠে এসব প্রতিদ্বন্দ্বীরা নিজেদের পাওয়ার টিলারের ইঞ্জিন ঠিকঠাক করাসহ তেল-মবিল ঠিকমত নিয়েই প্রস্তুতি নিচ্ছিলেন।  

খেলার নির্দিষ্ট মাঠটি হাট পর্যন্ত কর্দমাক্ত। সেখানেই তাদের শরীরের সমস্ত শক্তি দিয়ে প্রতিদ্বন্দ্বীতা করতে হবে। আর লক্ষ্যে পৌঁছাতে সময় মাত্র ৫ মিনিট। এই বেধে দেওয়া সময়ের মধ্যে পাওয়ার টিলার নিয়ে পৌঁছাতে হবে শেষ প্রান্তে।  

খেলা শুরু হলো, প্রথম রাউন্ডে গাংনী উপজেলার কচুইখালি গ্রামের প্রতিদ্বন্দ্বী লাবলু হোসেন ও মুজিবনগর উপজেলার রুইতনপুর গ্রামের হুসাইন তাদের পাওয়ার টিলার নিয়ে নামলেন প্রতিদ্বন্দ্বিতায়। নির্দিষ্ট ৫ মিনিট সময়ে তারা পৌঁছাতে পারলেন গন্তব্য স্থানের অর্ধেকে। এতে রুইতনপুর গ্রামের প্রতিযোগী লাবলু হোসেন প্রথম স্থান অধিকার করেন। এভাবে ১৬টি রাউন্ডে ৩২ জন প্রতিযোগী প্রতিদ্বন্দ্বীতা করে দ্বিতীয় রাউন্ডে যাবেন মাত্র ১৬ জন।

পরে দ্বিতীয় রাউন্ড শেষে ৮ জন, তৃতীয় রাউন্ড শেষে ৪ জন, চতুর্থ রাউন্ড শেষে মাত্র দুইজন প্রতিযোগীতা করবে। পরে দুইজনের মধ্যে প্রতিযোগীতা করে চ্যাম্পিয়ন ও রানার্স আপ ঘোষণা করা হবে।

খেলায় হাড়িয়াদহ, মহিষাখোলা, ধানখোলা, আড়পাড়া, গোপালনগর, গাংনী, কচুইখালি, জুগিন্দা, রুইতনসহ গাংনী, মেহেরপুর, মুজিবনগর, চুয়াডাঙ্গাসহ এলাকার বিভিন্ন গ্রাম থেকে হাজার হাজার নারী-পুরুষ এসছিলেন খেলা দেখতে।

খেলায় প্রথম পুরস্কার একটি বড় মাপের খাসি, দ্বিতীয় পুরস্কার একটি ভেড়া ও তৃতীয় পুরস্কার একটি ছোট সাইজের খাসি।

আয়োজক কমিটির আহ্বায়ক মারুফ হোসেন বাংলানিউজকে জানান, বিশ্বের কোথাও এ ধরনের আয়োজন হয়নি। এই বছরে প্রথম গাংনীর গাঁড়াডেবো, সাহারবাটি ও সদর উপজেলার যতারপুর গ্রামে এ খেলার আয়োজন করা হয়।  

খেলায় অংশগ্রহণ করতে পেরে লাবলু হোসেন, জুয়েল হোসেন, দেলোয়ার হোসেন শরিফুল ইসলাম জানান, এটা একটি আনন্দদায়ক অংশগ্রহণ। জয় পরাজয় নয়, আমাদের হাজার হাজার লোকজন দেখছেন এটাই আমাদের সফলতা।

আয়োজক মারুফ হোসেন জানান, আজকেই খেলায় বিজয়ীদের হাতে পুরস্কার তুলে দেওয়া হবে। পুরস্কার তুলে দেবেন গাংনী পৌর মেয়র আহম্মেদ আলী। এছাড়া রাইপুর ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান গোলাম সাকলায়েন ছেপুসহ স্থানীয় ইউপি সদস্য রাজু উপস্থিত থাকবেন।

বাংলাদেশ সময়: ১৫০৬ ঘণ্টা, জানুয়ারি ০৮, ২০২২
এনটি

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।