সিলেট থেকে: সংবাদ সম্মেলনে পাকিস্তানকে হাসিমুখেই আসতে দেখা গেছে বেশি, ক্রিকেটাররাও হাসিমুখে কথা বলেছেন প্রাণবন্ত হয়ে। ব্যতিক্রম ছিল কেবল থাইল্যান্ডের বিপক্ষে হারের দিন।
আজ আলিয়া রিয়াজ যখন সংবাদ সম্মেলনে কক্ষে ঢুকলেন, তার চোখ ছলছল, মুখে হতাশা ও বিষণ্নতা। কণ্ঠেও শোনা গেল একই প্রতিধ্বনি। একটু আগে মাঠেই দেখা গেছে পাকিস্তানের মেয়েদের হতাশা। শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে সেমিফাইনালে ১ রানের হার যে তাদের হৃদয় ভেঙেছে, স্পষ্ট হলো আলিয়ার কথায়।
প্রথম প্রশ্নের উত্তরটাই যে ঠিকঠাক শেষ করতে পারলেন না। কাছাকাছি গিয়ে এমন একটা হারের পর ড্রেসিং রুমের অবস্থা কেমন? জানতে চাওয়া হয় আলিয়ার কাছে।
জবাবে তিনি বলতে পেরেছেন কেবল এটুকুই, ‘অবশ্যই, খুবই হতাশাজনক। সবাই কষ্ট পেয়েছে...’ আলিয়া যতই অল্পতে শেষ করতে চান, পারেন না।
তার কাছে আবার প্রশ্ন, এমন হারের পর কী কারো সঙ্গে কথা হয়েছে? আলিয়া বলেছেন, ‘এটা সবার জন্য খুব কষ্টের মুহূর্ত। সবাই আবেগী হয়ে পড়েছে, মেনে নেওয়াও কষ্ট সবার জন্য। ’
শেষ বলে পাকিস্তানের দরকার ছিল ৩ রান। দুই রান নিতে পারলেও ম্যাচ গড়াতো সুপার ওভারে। কিন্তু প্রথম রানের জন্য ঠিকঠাক দৌড়ালেও দ্বিতীয়টিতে থমকে দাঁড়ান নিদা ধার, আউটও হন তিনি। ওই সময় ক্রিজে ছিলেন আলিয়াও। তাদের মধ্যে কী কথা হয়েছিল? তিনি বলেছেন, ‘আমি ও নিদা কথা বলেছিলাম, যদি বাউন্ডারি না আসে। তাহলে আমরা দুই রানের জন্য দৌড়াবে। যদিও শেষ অবধি হয়নি। ’ বেশ উত্থান-পতনের এক টুর্নামেন্টই পাড় করেছে পাকিস্তান।
চিরপ্রতিদ্বন্দ্বী ভারতের সঙ্গে জেতার আগেই তারা হেরেছিল থাইল্যান্ডের কাছে। এরপর আবার পাকিস্তান ঘুরেও দাঁড়িয়েছিল। এবারের নারী এশিয়া কাপের যাত্রা নিয়ে পাকিস্তানী ব্যাটার বলেছেন, ‘পুরো টুর্নামেন্ট আমাদের জন্য ভালো ছিল। থাইল্যান্ডের বিপক্ষে হেরে গিয়েছিলাম। এরপর আবার মোমেন্টাইম পাই। কিন্তু দুর্ভাগ্যবশত আজকে...’
বাংলাদেশ সময়: ১৮১৫ ঘণ্টা, অক্টোবর ১৩, ২০২২
এমএইচবি/আরআইএস