জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান এবং বঙ্গমাতা শেখ ফজিলাতুন নেছা মুজিবের কনিষ্ঠ পুত্র শেখ রাসেলের ৫৯তম জন্মদিন আজ। নানা কর্মসূচির মধ্যে দিয়ে গভীর শ্রদ্ধা আর অফুরন্ত ভালোবাসার সাথে যথাযথ মর্যাদায় দিবসটি উদযাপন করেছে যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রণালয় ও এর আওতাধীন দপ্তর সংস্থা এবং দেশের বিভিন্ন ক্রীড়া ফেডারেশনসমূহ।
দিবসটি উদযাপনের শুরুতেই আজ সকালে যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রণালয়ের প্রতিমন্ত্রী মোঃ জাহিদ আহসান রাসেল এমপি মন্ত্রণালয়ের সচিব মেজবাহউদ্দিন সহ মন্ত্রণালয়ের অন্যান্য কর্মকর্তাদের সঙ্গে নিয়ে শহীদ শেখ রাসেলের প্রতিকৃতিতে পুস্পস্তবক অর্পণ করে শ্রদ্ধা জানান। এসময়ে শহীদ শেখ রাসেলসহ জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান, বঙ্গমাতা শেখ ফজিলাতুন্নেছা মুজিব ও ১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট শাহাদাত বরনকারী বঙ্গবন্ধু পরিবারের সকল সদস্যদের আত্মার মাগফেরাত কামনা করে বিশেষ মোনাজাত করা হয়।
এছাড়া আজ দুপুরে শেখ রাসেল দিবস ২০২২ উদযাপনের অংশ হিসেবে যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রণালয়ের উদ্যোগে যুব উন্নয়ন অধিদপ্তরের প্রধান কার্যালয়ে এক বিশেষ আলোচনা সভা ও দোয়া মাহফিলের আয়োজন করা হয়। যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রণালয়ের সচিব মেজবাহ উদ্দিন এর সভাপতিত্বে উক্ত অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্হিত ছিলেন যুব ও ক্রীড়া প্রতিমন্ত্রী মোঃ জাহিদ আহসান রাসেল এমপি। বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য প্রদান করেন যুব উন্নয়ন অধিদপ্তরের মহাপরিচালক (গ্রেড-১) মোঃ আজহারুল ইসলাম খান।
যুব ও ক্রীড়া প্রতিমন্ত্রী তার বক্তব্যে শহীদ শেখ রাসেলকে অসময়ে ঝরে যাওয়া এক ফুটন্ত গোলাপ হিসেবে বর্ণনা করে তার বিদেহী আত্মার শান্তি কামনা করেন। প্রতিমন্ত্রী বলেন, ‘শেখ রাসেল হত্যা পৃথিবীর ইতিহাসে সবথেকে নৃশংস ঘটনা। শেখ রাসেল নরপিশাচদের কাছে তার মায়ের কাছে যাওয়ার আকুতি জানিয়েছিল। কিন্তু আমাদের দূর্ভাগ্য তাকে পরিবারের সকল সদস্যর মতো নির্মমভাবে হত্যা করা হয়েছে। এর থেকে হৃদয়বিদারক ঘটনা পৃথিবীর ইতিহাসে আর দ্বিতীয়টি নেই। আর তাই শেখ রাসেলের পলাতক খুনিদের খুঁজে অবিলম্বে শাস্তি কার্যকর এখন সময়ের দাবি। ’
প্রতিমন্ত্রী শহীদ শেখ রাসেলকে বিশ্বের সকল শিশু কিশোরদের জন্য অন্তহীন অনুপ্রেরণার উৎস হিসেবে উল্লেখ করেন। তিনি তরুণ প্রজন্মকে শহীদ শেখ রাসেলের আদর্শে উজ্জীবীত হয়ে বঙ্গবন্ধুর স্বপ্নের সোনার বাংলা বিনির্মানে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালনের উদাত্ত আহ্বান জানান। অনুষ্ঠানে সচিব মেজবাহ উদ্দিন বলেন, শহীদ শেখ রাসেলের মধ্যে ছোট্ট বয়সেই জাতির পিতার মানবিক গুনাবলী বিকশিত হয়েছিল। তিনি অত্যন্ত অতিথিপরায়ন, ধীমান এবং পরোপকারী ছিলেন।
জাতীয় ক্রীড়া পরিষদ, বঙ্গবন্ধু ক্রীড়াসেবী কল্যান ফাউন্ডেশন, বিকেএসপিসহ অন্যান্য প্রতিষ্ঠানেও কেক কেটে আলোচনা সভা ও দোয়া মাহফিল, ফুল দিয়ে প্রতিকৃতিতে শ্রদ্ধা নিবেদন এবং বিশেষ মোনাজাতের মাধ্যমে দিবসটি উদযাপন করা হয়েছে। মন্ত্রনালয় আয়োজিত সকল কর্মসূচিতে যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রণালয়ের উর্ধতন কর্মকর্তা ও দপ্তর সংস্থার প্রধানগন ও অন্যান্য কর্মকর্তাবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।
বাংলাদেশ সময়:
এআর