টেবিল টেনিসের অন্যতম দুই সেরা তারকা সোনাম সুলতানা সোমা এবং সাদিয়া রহমান মৌ। তাদের বিরুদ্ধে কমনওয়েলথ গেমস চলাকালীন না বলে ঘুরতে যাওয়ার অভিযোগ এনেছিল ফেডারেশন।
যে কারণে এই দুই খেলোয়াড়কে নিষিদ্ধ করে বাংলাদেশ টেবিল টেনিস ফেডারেশন। সেই সোমা-মৌ বাংলাদেশ পুলিশকে মহানগর টেবিল টেনিস প্রতিযোগিতায় চ্যাম্পিয়ন করেছে। দলের আরেক খেলোয়াড় ছিলেন মাহী। মেয়েদের লিগে ২২ পয়েন্ট নিয়ে অপরাজিত চ্যাম্পিয়ন হয়েছে পুলিশ। ১৬ পয়েন্ট পেয়ে দীর্ঘদিনের মুকুট হারিয়েছে আাবাহনী লিমিটেড। তৃতীয় হয়েছে জেবিএল-৭১।
ঢাকা মহানগর টেবিল টেনিসে মেয়েদের লিগের শিরোপা আর সোনম সুলতানা যেন পরিপুরক। এবার পুলিশে এসেই প্রথমবারের মতো দলটিকে চ্যাম্পিয়ন করালেন। গত ১১ বছর আবাহনী লিমিটেডকে চ্যাম্পিয়ন করিয়েছেন এই সোমা-মৌ’ই। তারা এবার দলবদল করে খেলেছেন বাংলাদেশ পুলিশে। প্রথম মৌসুমেই দলকে সাফল্য এনে দিলেন তারা।
বর্তমানে কঠিন সময় পার করছেন সোমা। ফেডারেশন প্রথম দুই খেলোয়াড়কে আন্তর্জাতিক অঙ্গনে তিন বছর ও ঘরোয়া পর্যায়ে দুই বছর নিষিদ্ধের সিদ্ধান্ত নেয়। দুই খেলোয়াড়ের আবেদনের প্রেক্ষিতে উভয় পর্যায়ে এক বছর সাজা কমানো হয়। নিষিদ্ধের সিদ্ধান্ত নিলেও ক্লাবের সঙ্গে আগেই চুক্তি হওয়ায় এই প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণের পর সাজা কার্যকর হবে। ফলে মানসিক অস্বস্তি নিয়েই যে খেলতে হয়েছে তা বলার অপেক্ষা রাখে না।
সোমা বলেন, ‘আসলে খুব একটা বাজে সময় পার করছি আমরা। আমাদের এত হেনস্থা করা হচ্ছে। এর মধ্যেই আমরা খেলেছি। এটা একটা চ্যালেঞ্জ ছিল। আর পুলিশ দলে আমরা প্রথমারের মত খেলছি। দলকে চ্যাম্পিয়ন করার চ্যালেঞ্জ ছিল। আলহামদুলিল্লাহ চ্যালেঞ্জ পার করতে পেরেছি। ’
ফেডারেশন শুধু খেলোয়াড়কে শাস্তি দিলেও বাংলাদেশ অলিম্পিক এসোসিয়েশন পুরো বিষয়টি নিয়ে গভীর তদন্ত করেছে। বিওএ’র তদন্ত কমিটির কাছে অভিযুক্ত খেলোয়াড়রা সাক্ষ্য দেয়ার পাশাপাশি ফেডারেশনের সাধারণ সম্পাদকও নিজের অবস্থান ব্যাখ্যা করেছেন। সোমা বলেছেন, ‘আমরা বিওএর কাছে আমাদের কথা জানিয়েছি। ফেডারেশনও তাদের কথা বলেছে। তদন্ত চলছে। বাকিটা সময়ই বলে দেবে। ’
বাংলাদেশ সময়: ২১০০ ঘণ্টা, অক্টোবর ১৯, ২০২২
এআর/আরইউ