ঢাকা, শুক্রবার, ১ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ১৫ নভেম্বর ২০২৪, ১৩ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

খেলা

হকি চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফি/

জয়ে শুরু একমি চট্টগ্রামের

সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট, স্পোর্টস  | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ২১৩৮ ঘণ্টা, অক্টোবর ২৮, ২০২২
জয়ে শুরু একমি চট্টগ্রামের ছবি: শোয়েব মিথুন

একমি চট্টগ্রাম বনাম সাইফ পাওয়ার খুলনার ম্যাচ নিয়ে নতুন যুগে পা রাখলো বাংলাদেশের হকি। দেশে প্রথমবারের মতো আয়োজিত ফ্র্যাঞ্চাইজি হকির প্রথম ম্যাচে জয় দিয়ে শুরু করলো একমি চট্টগ্রাম।

 

আজ শুক্রবার মওলানা ভাসানী স্টেডিয়ামে অনুষ্ঠিত উদ্বোধনী ম্যাচে ৩-২ গোলে সাইফ পাওয়ার খুলনাকে হারিয়ে দিয়েছে একমি চট্টগ্রাম।  

ম্যাচের শুরু থেকেই আক্রমণাত্মক হকির পসরা সাজিয়ে বসে দুই দলই। ম্যাচের ১৩তম মিনিটে প্রথম পেনাল্টি কর্নার পায় একমি চট্টগ্রাম। প্রথম সুযোগটাকে কাজে লাগাতে পারেননি ফরহাদ আহমেদ শিতুল। উড়িয়ে মেরেছেন মাঠের বাইরে। এরপর আরেকটি পেনাল্টি কর্নারও নষ্ট করেছে একমি চট্টগ্রাম।  

অন্যদিকে ম্যাচের ১৯তম মিনিটে প্রথম সুযোগ পায় সাইফ। পেনাল্টি কর্নার থেকে বল জালে ঢোকানোর সুযোগ পেয়েও নষ্ট করেছেন তানজিম আহমেদ। ২৩তম মিনিটে পোস্টের খুব কাছ থেকে গোলের সুযোগ পেয়েও গোল করতে পারেননি সাইফের অস্ট্রিয়ান ফরোয়ার্ড মরিজ ফ্রে।  

আক্রমণ-প্রতি আক্রমণে জমে ওঠে ম্যাচ। ২৪তম মিনিটে সাইফের গোলরক্ষক বিপ্লব কুজুরের ভুলে পেনাল্টি স্ট্রোক পায় একমি চট্টগ্রাম। নিজেদের বক্সের ভেতর চট্টগ্রামের আশরাফুল আলমকে ফেলে দেন বিপ্লব কুজুর। পেনাল্টি নিতে এসেছিলেন চট্টগ্রামের ভারতীয় অধিনায়ক দেবিন্দার বাল্মিকি। তার সেই শট প্রতিহত হয় পোস্টে লেগে।  

গোলের সুযোগ নষ্ট করলেও দুই মিনিট পরেই তা পুষিয়ে দিয়েছেন বাল্মিকি। ২৬তম মিনিটে রিভিউ নিয়ে পেনাল্টি কর্নার আদায় করে চট্টগ্রাম। জার্মান এলভিস স্পার্লিংয়ের পুশ থেকে এবার আর সুযোগ নষ্ট করেননি বাল্মিকি। তার শটে হার মানেন সাইফ গোলরক্ষক বিপ্লব। গোল বাতিলের রিভিউ নিয়েও গোল বাঁচাতে পারেনি সাইফ।  

বিরতির পরই সমতায় ফেরে সাইফ। ৩৪তম মিনিটে পেনাল্টি কর্নার থেকে রাজু আহমেদের পুশে গোলে শট নেন সাইফ অধিনায়ক খোরশেদুর রহমান। খোরশেদের শট চট্টগ্রাম গোলরক্ষক সজীবুর রহমানের গায়ে প্রতিহত হলেও ফিরতি শটে বল পোস্টে ঠেলেন তানজিম আহমেদ।
 
এরপর ৩৮তম মিনিটে পেনাল্টি কর্নার থেকে আবারও এগিয়ে যায় চট্টগ্রাম। এলভিস স্পার্লিংয়ের পুশ থেকে ড্র্যাগফ্লিকে নিজের ও দলের দ্বিতীয় গোল তুলে নেন দেবিন্দার বাল্মিকি।  

৫৩তম মিনিটে চট্টগ্রামকে তৃতীয়বারের মতো এগিয়ে দেন ফ্লোরিয়ান স্পার্লিং। মালয়েশিয়ান হাফিজ নাইনোলের কাটব্যাক থেকে রাজীব দাসের পাস থেকে ফ্লিকে গোল তুলে নেন ফ্লোরিয়ান। গোল করেই প্রতিপক্ষের স্টিকের আঘাতে আহত হয়ে মাঠ ছাড়েন জার্মান স্ট্রাইকার।  

খেলা শেষ হওয়ার এক মিনিট আগে খুলনার হয়ে এক গোল শোধ দেন গুইডো বেরিওর্স। পেনাল্টি কর্নার থেকে তানজিম আহমেদের পুশ থেকে আর্জেন্টাইন গুইডো বেরিওর্সের গোলে ব্যবধান কমায় খুলনা।

বাংলাদেশ সময়: ২১৩৮ ঘণ্টা, অক্টোবর ২৮, ২০২২
এআর/এমএইচএম

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।