নীলফামারী: অত্যন্ত ছিমছাম, নিরিবিলি পরিবেশে গড়ে ওঠা স্বপ্নের জগত স্বপ্নপুরী। কী নেই সেখানে।
ব্যক্তিগত উদ্যোগে প্রথমে ১৯৮৯ সালে প্রায় সাত কোটি টাকা ব্যয়ে ১০০ একর জমির ওপর স্বপ্নপুরী নামক পর্যটন কেন্দ্রের নির্মাণ কাজ শুরু করা হয়। ধাপে ধাপে এখনও চলছে এই নির্মাণযজ্ঞ। নতুন নতুন দর্শনীয় স্থাপনা তৈরি চলছে নিয়মিত।
সেখানে রয়েছে দেশী-বিদেশি বিভিন্ন পশু পাখির ভাস্কর্য, কৃত্রিম পাহাড়, কৃত্রিম ঝর্ণা, চিড়িয়াখানা, মিউজিয়াম এবং বিশাল লেক। আছে বাংলাদেশের সুবিশাল মানচিত্র, শিশু পার্ক, দীঘিতে স্পিডবোট, ক্যাবল কার, ইলেকট্রিক দোলনা, নাগরদোলা।
বিভিন্ন রাইড, চিড়িয়াখানা, রেস্ট হাউজ, বাগান, হ্রদ, বিশ্বের বিভিন্ন প্রজাতির মাছ, ‘রংধনু’ আর্ট গ্যালারি, ভুতের বাড়ি, ‘মহা মায়া ইন্দ্রজাল’ নামে জাদুর গ্যালারি এবং পিকনিকের জন্য রয়েছে মনোরম পরিবেশের জায়গা। ভিআইপি রেস্ট হাউস ১৫টি, মধ্যম শ্রেণির ২০টি এবং অন্যান্য ২৫টি রেস্ট হাউস নির্মাণ করা হয়েছে।
কেবলকার, ঘোড়ার গাড়ি, চিড়িয়াখানা, কৃত্রিম চিড়িয়াখানা, কৃত্রিম মৎস্য জগত, রেস্টুরেন্ট আছে। কৃত্রিম মাছ এবং বিভিন্ন প্রাণীদের সঙ্গে, বিশ্বকে খুঁজে পেতে পারবেন দর্শনার্থীরা। বিনোদনের জন্য রয়েছে ছোট ছোট অনেক রাইড। অজগর, বাঘ, সিংহ, হাতি, জেব্রা, পেঙ্গুইন পাখির প্রতিকৃতি পাথর দিয়ে তৈরি করা হয়েছে। প্রাকৃতিক ঝর্ণা না থাকলেও চালু করা হয়েছে শ্যালো চালিত ঝর্ণা।
এই বিনোদন পার্কে সারাদিন থাকলেও মন ভরে না। স্থানীয় লোকজন ছাড়াও দেশের বিভিন্ন প্রান্ত লোকজন আসেন। ঈদ উৎসব ও অন্যান্য উৎসবে লোকজনের ভিড় বেড়ে যায়। বিশেষ করে শীতের মৌসুমে পিকনিক পার্টির আনাগোনা থাকে চোখে পড়ার মতো।
বাংলাদেশ সময়: ১৪৩৮ ঘণ্টা, এপ্রিল ১২, ২০২৪
এসআইএ