ঢাকা: একটি দেশের পযর্টন শিল্প বিকাশের অন্যতম শর্ত হচ্ছে ‘ডমিস্টিক ট্যুরিজম’ এর উন্নয়ন বলে জানিয়েছেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য আ আ ম স আরেফিন সিদ্দিক।
মঙ্গলবার (১৫ নভেম্বর) ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের টিএসসি’র স্বোপার্জিত স্বাধীনতা চত্বরে পর্যটন দিবস উপলক্ষে নবান্ন উৎসব ও লোকজ উৎসবের উদ্বোধন শেষে এসব কথা বলেন উপাচার্য।
বাংলাদেশ পযর্টন করপোরেশনের সহযোগিতায় নবান্ন উৎসব ও লোকজ উৎসবের আয়োজন করে বাংলাদেশ ইয়ুথ অ্যান্ড স্টুডেন্টস ফোরাম ফর ট্যুরিজম ডিপার্টমেন্ট।
আ আ ম স আরেফিন সিদ্দিক বলেন, পর্যটন শিল্পের বিকাশে দেশের মানুষকে পযর্টন শিল্প বিষয়ে সচেতন হতে হবে। মানুষকে পযর্টন সংবেদনশীল হতে হবে। তাহলে বাইরের থেকে আসা পযর্টকরা বারবার আসতে চাইবে।
তিনি বলেন, বাংলাদেশ অতিথি পরায়ণ দেশ হিসেবে পরিচিত। গরিব মানুষও তার সর্ব্বোচ দিয়ে অতিথির সেবা করে। সে হিসেবে এ দেশের পর্যটন শিল্প উন্নয়ন সবচেয়ে কাঙ্ক্ষিত। এরপরও এখানে কেনো সমস্যা হয়- তা বের করতে হবে। পযর্টন করপোরেশন ও মন্ত্রণালয়কে এসব সমস্যা সমাধান করতে হবে।
পযর্টন শিল্প শ্রমঘন শিল্প উল্লেখ করে তিনি বলেন, পযর্টন শিল্প একটি শ্রমঘন শিল্প। ট্যুরিজমকে কেন্দ্র করে একটা ফাইভ স্টার হলে- সেখানে শত শত মানুষের কর্মসংস্থান হয়। পযর্টন শিল্পের বিকাশ হলে আমাদের বেকার জনগোষ্ঠীর কর্মসংস্থান সম্ভব হবে। এজন্য পযর্টন শিল্পকে সুনির্দিষ্ট পরিকল্পনা করে এগিয়ে নিতে হবে।
অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বেসামরিক বিমান ও পযর্টন মন্ত্রী রাশেদ খান মেনন।
এ সময় আরও বক্তব্য রাখেন, বাংলাদেশ পযর্টন করপোরেশনের চেয়ারম্যান ড. অপরূপ চৌধুরী, সম্মিলিত সাংস্কৃতিক জোটের সভাপতি গোলাম কুদ্দুস, ৭১ টেলিভিশনের পরিচালক (বার্তা) ইশতিয়াক রেজা, বাংলাদেশ ইয়ুথ অ্যান্ড স্টুডেন্টস ফোরাম ফর ট্যুরিজম ডিপার্টমেন্টের চেয়ারম্যান মোস্তাফা আলমগীর রতন প্রমুখ।
দুই দিনব্যাপী এ লোকজ মেলায় নানা ধরনের হস্তশিল্প ও পিঠার প্রদর্শনী হচ্ছে। সকাল ৯টা থেকে রাত ৮টা পর্যন্ত চলবে মেলা।
বাংলাদেশ সময়: ১২৪০ ঘণ্টা, নভেম্বর ১৫, ২০১৬
এমসি/এমজেএফ/