ঢাকা, শনিবার, ১৩ পৌষ ১৪৩১, ২৮ ডিসেম্বর ২০২৪, ২৫ জমাদিউস সানি ১৪৪৬

বছরজুড়ে দেশ ঘুরে

খুলনা বিভাগীয় জাদুঘর

শারমীনা ইসলাম, লাইফস্টাইল এডিটর | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ০৪২৪ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ২১, ২০১৬
খুলনা বিভাগীয় জাদুঘর খুলনা বিভাগীয় জাদুঘর ছবি: বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম

খুলনা বেড়াতে এসে একবার অন্তত ঘুরে যান খুলনা বিভাগীয় জাদুঘরে। খুলনা শহরের প্রাণ কেন্দ্র শিববাড়ী ট্রাফিক মোড়ে সোনাডাঙা মজিদ সরনিতে অবস্থিত জাদুঘরটি।

খুলনা থেকে: খুলনা বেড়াতে এসে একবার অন্তত ঘুরে যান খুলনা বিভাগীয় জাদুঘরে। খুলনা শহরের প্রাণ কেন্দ্র শিববাড়ী ট্রাফিক মোড়ে সোনাডাঙা মজিদ সরনিতে অবস্থিত জাদুঘরটি।

প্রসস্ত সিঁড়ি দিয়ে ওঠার পথেই চোখ আটকে গেলো থরে থরে সাজানো মুক্তিযুদ্ধের নানা ছবি।

দোতালায় ঘুরে ঘুরে দেখা মিললো শত বছরের পুরনো শিবমূর্তী, পুরনো দিনের জমিদার বাড়ির ব্যবহৃত বাসন, অলংকার, হাতিয়ার প্রভৃতি।
খুলনা বিভাগীয় জাদুঘর ছবি: বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
এখানে রয়েছে বেশ কিছু শিলালিপি। যার অনেকগুলোর অর্থ উদ্ধার করা হয়েছে। খুলনা বিভাগীয় জাদুঘরের সহকারী পরিচালক একেএম সাইফুর রহমান বাংলানিউজকে বলেন, ১৯৯৮ সালে এই জাদুঘরটি প্রতিষ্ঠিত হয়। গত দশ বছরে প্রতিষ্ঠানটি এলাকাবাসীর বিনোদন এবং জ্ঞান অর্জনের জন্য বেশ পরিচিত হয়ে উঠেছে।

বিভাগীয় জাদুঘরতিনি জানান, বিভিন্ন দিবসে জাদুঘরকে সাজানো হয় সেই আবহে। যার প্রমাণ মিললো মুক্তিযুদ্ধের ছবির প্রদশর্ন দেখে। সম্প্রতি বিজয় দিবস(১৬ ডিসেম্বর) উপলক্ষে দুলর্ভ সব ছবিগুলো মনে করিয়ে দিচ্ছে মুক্তিযুদ্ধের সেই উত্তাল দিনগুলো।

প্রতিষ্ঠানটি দর্শক টানতে নানা পদক্ষেপ নেয় বলেও জানান তিনি। শিশুদের জন্্য জাদুঘরের কর্মীরাই কাগজের ফুল পাখি তৈরি করে চকলেট-স্টিকার উপহার দিয়ে শিশুদের স্বাগত জানায়। জাতীয় ছুটির দিনগুলোতে শিশুরা বিনা টিকিটে ঢুকতে পারে।

জাদুঘরের গবেষণা সহকারী আইরিন পারভিন বলেন, জাতীয় জাদুঘরের আওতায় ও প্রত্নতত্ত্ব অধিদপ্তরের তত্ত্ববধানে জাদুঘরটি পরিচালিত হয়। আয়তনের দিক থেকে এটি দেশের দিত্বীয় বৃহত্তম জাদুঘর। দেশের বিভিন্ন স্থানে প্রাপ্ত নানান প্রত্নতাত্ত্বিক নিদর্শন বিশেষ করে ঝিনাইদহের বারবাজার, যশোরের ভরত ভায়ানা এবং বাগেরহাটের খানজাহান আলী সমাধিসৌধ খননের ফলে প্রাপ্ত নানান দুর্লভ নিদর্শন প্রদর্শিত হচ্ছে এ জাদুঘরে।
খুলনা বিভাগীয় জাদুঘর ছবি: বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
জাদুঘর পরিদর্শনের সময়:

শীতকালীন(১ অক্টোবর থেকে ৩১মার্চ)মঙ্গলবার থেকে শনিবার ৯টা থেকে বিকেল ৫টা।
গ্রীষ্মকালীন(১ এপ্রিল থেকে ৩০ সেপ্টেম্বর)মঙ্গলবার থেকে শনিবার ১০টা থেকে সন্ধ্যা ৬টা।
বিরতি: ১টা থেকে ১:৩০ টা
শুক্রবার বিরতি: ১২:৩০ থেকে ২টা
সাপ্তাহিক বন্ধ রবিবার ও সোমবার অর্ধদিবস।
টিকিটের মূল্য: ১৫ টাকা।

** তালেশ্বরের পালপাড়ায়
** কাঠ-শক্ত কাটলেট আর জেলি রুটিই ভরসা!

বাংলাদেশ সময়: ১০২৫ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ২১, ২০১৬
এসআইএস/এএ/জিপি
সহযোগিতায়

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।