উচ্চতা পরিমাপের জন্য এসআরটিএম জরিপের তথ্য ব্যবহার করা হয়েছে বলে জানান সাইদুর রহমান চৌধুরি। এর আগে ভারতের সঙ্গে সমুদ্রসীমা বিরোধের নিষ্পত্তির পর দেশের সমুদ্রসীমার প্রথম পূর্ণাঙ্গ মানচিত্র প্রণয়ন করেছিলেন অধ্যাপক চৌধুরি।
গবেষণায় ত্লাংময়ের উচ্চতা পাওয়া গেছে ৩ হাজার ৪৫১ ফুট। তার গবেষণার ফলাফলসহ অন্য তথ্য mapsnmaps.blogspot.com নামের একটি ওয়েবসাইটে প্রকাশিত হয়েছে।
![দেশের সর্বোচ্চ চূড়া ত্লাংময়/ছবি: বাংলানিউজ](http://www.banglanews24.com/media/imgAll/2016October/bg/IMG_082720170217142711.jpg)
কলোরাডো পদ্ধতিতে স্বতন্ত্র শৃঙ্গ হওয়ার জন্য একটি চূড়ার কমপক্ষে ৩শ ফুট প্রমিনেন্স থাকতে হবে। বাংলাদেশ তুলনামূলক কম পাহাড়ি দেশ, বিধায় গবেষণায় কলোরাডো নিয়ম অনুসরণ করি।
![দেশের সর্বোচ্চ চূড়া ত্লাংময়/ছবি: বাংলানিউজ](http://www.banglanews24.com/media/imgAll/2016October/bg/bn20170217142741.jpg)
উচ্চতার হিসেবে দেশের ৭৫টি পাহাড়চূড়ার মধ্যে তাজিনডংকে ২৬তম বলে দাবি করেছেন তিনি।
ড. সাইদুর গবেষণা সম্পন্ন করতে ব্যবহার করেছেন মার্কিন গবেষকদের সূক্ষ্ম শাটল রাডার উপাত্ত, স্যাটেলাইট চিত্র, টপোগ্রাফিক মানচিত্র ও বাংলাদেশি পর্বতারোহীদের সংগৃহীত উপাত্তগুলো।
![দেশের সর্বোচ্চ চূড়া ত্লাংময়/ছবি: বাংলানিউজ](http://www.banglanews24.com/media/imgAll/2016October/bg/fffd20170217142813.jpg)
তিনি ছাড়াও দেশের বিভিন্ন অ্যাডভেঞ্চারপ্রেমী পর্যটকদের জিপিএস পরিমাপেও ত্লাংময় সর্বোচ্চ চূড়া হিসেবে উঠে এসেছে।
এ ব্যাপারে পার্বত্য চট্টগ্রাম বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের সচিব নব বিক্রম কিশোর ত্রিপুরা বাংলানিউজকে বলেন, ইতোমধ্যেই দেশের সর্বোচ্চ চূড়া নির্ধারণের বিষয়টি নিয়ে সেনাবাহিনীকে দু’বার চিঠি দেওয়া হয়েছে। কারণ ইতোপূর্বে বিষয়টি তাদের মাধ্যমেই হয়েছে। আশা করছি এ ব্যাপারে একটি ফলাফল পাওয়া যাবে।
২০০৬ সালে ব্রিটিশ পর্বতারোহী জিঙ ফুলেন প্রথম এ পর্বত আরোহণ করেন। পরে ২০০৭ সালে প্রথম বাংলাদেশি দল এ চূড়া আরোহণ করে। এ দলে ছিলেন এভারেস্ট আরোহণকারী পর্বতারোহী সজল খালেদ। এ সময় এ চূড়ার নামকরণ করা হয় ত্লাংময়। এটি বম ভাষার শব্দ। ত্রিপুরা ভাষায় সাকা হাফং নামেও অনেকে এ চূড়াটিকে ডেকে থাকেন। এছাড়া মদক তং নামেই পরিচিত এটি। বান্দরবানের রুমা ও থানচি উপজেলা হয়ে যাওয়া যায় এখানে। তবে এটি পড়েছে থানচি উপজেলায়।
বাংলাদেশ সময়: ১৪২১ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ১৭, ২০১৭
এএ