বুধবার (২৬ ফেব্রুয়ারি) দুপুরে এ পর্যটক বাস সার্ভিসের উদ্বোধন করেন কক্সবাজারের অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট মো. শাহজাহান আলী।
বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষা জীবনের পাঠ চুকিয়ে প্রায় এক কোটি টাকা ব্যয়ে ১০ বন্ধুর উদ্যোগে খুললো দেশের পর্যটনের এ নতুন দিগন্ত।
উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে অ্যাকোয়াহোলিক ট্যুরিস্ট ক্যারাভ্যানের কর্মকর্তারা জানান, কক্সবাজার-টেকনাফ ৮০ কিলোমিটার দৈর্ঘ্যের এ সড়কে অ্যাকোয়াহোলিক ট্যুরিস্ট ক্যারাভ্যানটি চলবে। যা দেশের কোনো পর্যটক স্পটে এই প্রথম।
প্রতিদিন সকাল ৯টায় কক্সবাজার শহরের কলাতলী থেকে ছোট বাসে করে পর্যটকদের নিয়ে যাওয়া হবে ইনানী রেজুখাল ব্রিজে। সেখান থেকে ট্যুরিস্ট ক্যারাভ্যানে শুরু হবে মেরিন ড্রাইভ ভ্রমণ। টেকনাফ উপজেলার সাবরাংয়ের জিরোলাইন ঘুরে আবার কক্সবাজার ফিরে আসবে বাসটি। কয়েকটি কাউন্টার ছাড়াও ওয়েবসাইটেও (www. aquaholic.com.bd) এ বাসের টিকিট কেনা যাবে।
অ্যাকোয়াহোলিক ট্যুরিস্ট ক্যারাভানের ব্যবস্থপনা পরিচালক তানজিল আহমেদ বলেন, বর্তমানে বাস একটি। আসন সংখ্যা উপরে ৩৬টি, নিচে ১২টি। প্রতিদিন রেজুখাল ব্রিজ এলাকা থেকে ছাড়বে। ছোট বাসে করে কলাতলী মোড় থেকে পর্যটকদের নিয়ে যাওয়া হবে ওই এলাকায়।
আরেক পরিচালক ইমরান খাঁন বলেন, মেরিন ড্রাইভ সড়কের সৌন্দর্য উপভোগের পর্যটকদের সুবিধার্তে আমরা ১০ বন্ধু মিলে এ উদ্যোগ নিয়েছি। আশাকরি কক্সবাজারের পর্যটনশিল্পের বিকাশে অবদান রাখবে এ উদ্যোগ।
মিজানুর রহমান বলেন, পর্যটনের প্রসারের জন্য বিশ্বের বিভিন্ন দেশে এ ধরনের বাস সার্ভিস চালু আছে। এ বাসের বিশেষত্ব হচ্ছে ছাদ খোলা। পর্যটকেরা বিনোদনের মাধ্যমে ভ্রমণ করতে পারে। আর মেরিন ড্রাইভ হচ্ছে বিশ্বের দীর্ঘতম সৈকতে। এই সড়কটির দু’পাশের সৌন্দর্য উপভোগের পাশাপাশি পর্যটনশিল্পের প্রসারের জন্য মূলত এ উদ্যোগ।
অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিষ্ট্রেট মো. শাহজাহান আলী বলেন, পর্যটন সম্প্রসারণে এ বাসটি ভূমিকা রাখবে। এ কারণেই সব সময় বাসটি পরিচালনায় সহযোগিতা করে যাবো।
এ বাসে করে কলাতলী থেকে টেকনাফ ভ্রমণের ভাড়া ভাড়া নির্ধারণ করা হয়েছে ২ হাজার টাকা। বাসে মেরিন ড্রাইভ ভ্রমণের পাশাপাশি থাকবে সকালের নাস্তা, দুপুরের খাবার, বিকেলের স্ন্যাক্স। বাসের ভেতরে রয়েছে লাইব্রেরি। যেখানে ভ্রমণকারীদের জন্য থাকছে পর্যটন সংশ্লিষ্ট বইসহ দেশি-বিদেশি লেখকদের বই পড়ার সুযোগ। থাকবে ওয়াইফাই ও ওয়াশরুম সুবিধা।
বাংলাদেশ সময়: ১৭৪২ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ২৬, ২০২০
এসবি/এএ