প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সভাপতিত্বে সোমবার (১৬ মার্চ) রাজধানীর তেজগাঁওয়ে তার কার্যালয়ে মন্ত্রিসভার নিয়মিত বৈঠকে এ অনুমোদন দেওয়া হয়েছে।
বৈঠক শেষে সচিবালয়ে মন্ত্রিপরিষদ সচিব খন্দকার আনোয়ারুল ইসলাম এক ব্রিফিংয়ে জানান, বাংলাদেশের পর্যটনখাত একটি সম্ভাবনাময় শিল্প।
তিনি জানান, বাংলাদেশের পর্যটন শিল্প বিকাশের লক্ষ্যে সুপরিকল্পিত ট্যুর কার্যক্রম পরিচালনায় ট্যুর অপারেটর ও ট্যুর গাইডের কার্যক্রমকে আইনের আওতায় পরিচালনার উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে।
প্রস্তাবিত আইনে ট্যুর অপারেটর ও ট্যুর গাইডকে সংজ্ঞায়িত করা ছাড়াও নিবন্ধন প্রাপ্তির যোগ্যতা, প্রক্রিয়া, মেয়াদ ও নিবন্ধন সনদ বাতিলের বিষয়ে বলা হয়েছে।
নিবন্ধন সনদ ছাড়া ট্যুর অপারেটর ও ট্যুর গাইড পরিচালনায় বিধি নিষেধ আরোপ করা হয়েছে জানিয়ে মন্ত্রিপরিষদ সচিব বলেন, মৃত্যুবরণ বা শারীরিক অক্ষমতার কারণে নিবন্ধন সনদ হস্তান্তর ও কার্যালয় স্থানান্তরের বিধান রাখা হয়েছে।
পর্যটকদের স্বার্থ সংরক্ষণার্থে ট্যুর অপারেটর ও ট্যুর গাইডগুলোর অপরাধ ফৌজদারি অপরাধ হিসেবে গণ্য করে ১৮৯৮ সালের কোড অব ক্রিমিন্যাল প্রসিডিউর অনুযায়ী বিচারের বিধান রাখা হয়েছে বলে জানান মন্ত্রিপরিষদ সচিব।
তিনি জানান, এ আইন প্রণীত হলে বাংলাদেশের পর্যটন শিল্প বিকাশের লক্ষ্যে ট্যুর অপারেটরদের কার্যক্রম সুষ্ঠু ও সুচারুভাবে পরিচালনা করা সম্ভব হবে।
খন্দকার আনোয়ারুল ইসলাম বলেন, ট্যুর অপারেটররা সংবিধিবদ্ধ আইনের আওতায় কাজ করলে পর্যটকদের কাঙ্ক্ষিত সেবা প্রাপ্তি সহজতর হবে। পর্যটকদের স্বার্থ সংরক্ষণ করা সম্ভব হবে এবং সরকারের রাজস্ব আরও বাড়বে।
বাংলাদেশ সময়: ২০০৫ ঘণ্টা, মার্চ ১৬, ২০২০
এমআইএইচ/আরবি/