বুধবার (১৮ মার্চ) দুপুরে নিজ কার্যালয়ে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে এ কথা বলেন জেলা প্রশাসক প্রতাপ চন্দ্র বিশ্বাস।
তিনি বলেন, করোনা ভাইরাস যেহেতু সংক্রামক তাই দেশের সার্বিক অবস্থা বিবেচনা করে এই সময়ে যাতে পর্যটকরা খাগড়াছড়িতে না আসে।
এদিকে করোনা ভাইরাস মোকাবিলায় জেলা প্রশাসককে আহ্বায়ক ও সিভিল সার্জনকে সদস্য সচিব করে ১১ সদস্য বিশিষ্ট একটি কমিটি গঠন করা হয়েছে।
এই কমিটি করোনা ভাইরাস মোকাবিলায় জাতীয় কমিটির নির্দেশনা মোতাবেক কাজ করবে।
জেলা প্রশাসক আরও বলেন, খাগড়াছড়ির কোনো নাগরিক যদি বিদেশ থেকে আসে তাহলে তাকে অবশ্যই হোম কোয়ারেন্টাইনে থাকতে হবে। তারা হোম কোয়ারেন্টাইনে থাকছে কিনা সেটি আমরা মনিটরিং করবো।
এদিকে শিক্ষা-প্রতিষ্ঠান বন্ধের সময় শিশুদের বাসায় রাখার পাশাপাশি প্রয়োজন ছাড়া ঘর থেকে বের হওয়ার ক্ষেত্রে নিরুৎসাহিত করছে স্বাস্থ্য বিভাগ। পুরো জেলায় ৮০টি আইসোলেশন বেড প্রস্তুত রাখা হয়েছে। এরমধ্যে খাগড়াছড়ি জেলা সদর হাসপাতালে ৩০ বেড এবং অন্য উপজেলাগুলোতে মোট ৫০ বেড প্রস্তুত রাখা হয়েছে। খোলা হয়েছে কন্ট্রোল রুম।
এদিকে ভারত ফেরত পাঁচজনকে হোম কোয়ারেন্টাইনে রাখা হয়েছে।
খাগড়াছড়ির ডেপুটি সিভিল সার্জন মিটন চাকমা বলেন, একদিকে পর্যটন এলাকা। তাছাড়া ঢাকা, চট্টগ্রাম থেকেও মানুষ যাতায়াত করছে তাই খাগড়াছড়ির করোনা ভাইরাসে সংক্রমিত হওয়াটা উড়িয়ে দেওয়া যাচ্ছে না। একমাত্র স্থানীয়দের সচেতনা করোনা থেকে নিরাপদ রাখতে পারে। বিদেশ থেকে আসা খাগড়াছড়ির নাগরিকদের প্রথমে হাসপাতালে আসার আহ্বান জানান তিনি।
বাংলাদেশ সময়: ১৪৪০ ঘণ্টা, মার্চ ১৮, ২০২০
এডি/এএটি