রাঙামাটি: পর্যটকে ভরপুর পাহাড়ি জেলা রাঙামাটি। পৌষের শুরুতে পর্যটকদের পদচারণায় মুখরিত হয়ে উঠেছে পুরো শহর।
সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, জেলার বিনোদন কেন্দ্রগুলোর মধ্যে অন্যতম রাঙামাটি পর্যটন কমপ্লেক্সের ঝুলন্ত সেতু, পলওয়েল পার্ক, আরণ্যক, সুবলং ঝরণায় পর্যটকদের ঢল নেমেছে। শহরে কাজের ব্যস্ততাকে ছুটি দিয়ে নিজের মনকে সতেজ করতে প্রকৃতির অপরূপ লীলা ভূমি রাঙামাটির সৌন্দর্য অবলোকন করতে মূলত তাদের এ যাত্রা।
এদিকে, পর্যটকের আগমন ঘটায় জেলা শহরের ছোট-বড় সব হোটেল-মোটেল বুকিং রয়েছে। রেস্টুরেন্টগুলো জমাজমাট এখন। তাই এখানে আসতে হলে অগ্রিম বুকিং দিয়ে আসা বুদ্ধিমানের কাজ হবে।
রাজধানী ঢাকার ব্যবসায়ী আব্দুল্লাহ আল মামুন বাংলানিউজকে বলেন, করোনার কারণে ঘর বন্দি ছিলো পরিবার। করোনার ক্রান্তিকাল যদিও এখনো শেষ হয়নি। কিন্তু পরিবার নিয়ে আর কতোদিন ঘরে বন্দি থাকা যায়। তাই পরিবারকে বিনোদনের স্বাদ দিতে রাঙামাটিতে ছুটে এসেছি।
বরিশাল থেকে বেড়াতে আসা সরকারি চাকরিজীবী জসিম উদ্দিন বাংলানিউজকে বলেন, মানুষের মুখে রাঙামাটির সৌন্দর্যের কথা শুনেছি। তাই চলে আসলাম পরিবার নিয়ে এ জেলার সৌন্দর্য দেখার জন্য।
তিনি আরও বলেন, ঝুলন্ত সেতু দেখলাম। খুব ভাল লেগেছে। আরও কয়েকদিন থাকবো। তার স্ত্রী ইয়াসমিন বাংলানিউজকে জানান, জীবনে প্রথম রাঙামাটিতে এসেছি। মনটা ভাল হয়ে গেলো। রাঙামাটি এতো সুন্দর তা কল্পনা করতে পারেনি।
পর্যটন ঘাটের বোট ইজারাদার রহমত আলী চৌধুরী বাংলানিউজকে বলেন, শীতের শুরুতে প্রতিদিন পর্যটক বাড়ছে। করোনায় আমরা অর্থনৈতিক ক্ষতির সম্মুখীন হয়েছি। আশাকরি এ মৌসুমে কিছুটা হলেও পরিত্রাণ পাবো। প্রতিদিন ৫০-৬০টি বোট ভাড়া হচ্ছে। ভাল আয় হচ্ছে চালকসহ মালিকপক্ষের।
রাঙামাটি পর্যটন করপোরেশনের ব্যবস্থাপক, সৃজন বিকাশ বড়ুয়া বাংলানিউজকে বলেন, আমাদের হোটেল শতভাগ বুকিং রয়েছে। প্রতিদিন হাজার হাজার পর্যটকের সমাগম ঘটছে। এটা আনন্দের সংবাদ পর্যটন সংশ্লিষ্টদের জন্য। কারণ করোনায় পর্যটক সংশ্লিষ্টরা অর্থনৈতিকভাবে বেশি ক্ষতির শিকার হয়েছে।
তিনি আরও বলেন, করোনা মোকাবিলায় আমরা মাস্ক পরিধান ছাড়া কাউকে ভিতরে প্রবেশ করতে দিচ্ছি না। ছুটির দিনগুলোতে রাঙামাটিতে দৈনিক ২০ হাজার পর্যটকের আগমন ঘটেছে।
বাংলাদেশ সময়: ০৯২০ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ২৫, ২০২০
এনটি