চাঁদপুর: চাঁদপুরের হাইমচর উপজেলা ছয়টি ইউনিয়ন নিয়ে গঠিত। এর মধ্যে ৪ ইউনিয়ন মেঘনা নদীর পশ্চিম পাড় অর্থাৎ চরাঞ্চল।
স্থানীয় বাসিন্দা ফজলুর রহমান বাংলানিউজকে বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা মেঘনা পাড়ের চরভাঙা এলাকা সফর করার সময় প্রাকৃতিক দৃশ্য দেখে মুগ্ধ হন এবং চরাঞ্চলকে অর্থনৈতিক জোন করার ঘোষণা দেন। অর্থনৈতিক অঞ্চল করার কাজ এগিয়ে চলছে। তবে, পর্যটন এলাকা করার জন্য এখন পর্যন্ত তেমন কোনো উদ্যোগের বিষয়ে আমরা জানতে পারিনি।
কাটাখালি এলাকার বাসিন্দা শোয়েব মিয়া ও আসলাম মিয়াজী বাংলানিউজকে বলেন, মেঘনা পাড়ের এই বৈচিত্রময় দৃশ্য যেকোনো মানুষের মন কাড়ে। দিনের বেলায় একরকম, বিকেলে সূর্যাস্তের সময় আরেক দৃশ্য ধারণ হয় মেঘনার পাড়ে। রাতের বেলা জোৎস্না থাকলে নদীর পাড় থেকে উঠে আসতেও মন চাইবে না পর্যটকদের। তারা আরও বলেন, কাটাখালি থেকে চরভাঙা পর্যন্ত প্রায় ছয় কিলোমিটার। এই স্থানটিতে মেঘনা পাড়ে মেরিন ড্রাইভ করা হলে খুবই চমৎকার হবে। কারণ এসব এলাকায় প্রবেশ করার জন্য বহু সংযুক্ত সড়ক এখন পাকা হয়েছে এবং এখানে অনেক পানবরজ ও সুপারির বাগান রয়েছে। এসব দৃশ্যও খুবই মনোরম। সরকারি কিংবা বেসরকারি সংস্থা যারা এগিয়ে আসবে পর্যটন এলাকা গড়ে তোলার জন্য অবশ্যই লাভজনক হবে। একইসঙ্গে এই অঞ্চলের অর্থনৈতিক উন্নতিসহ অনেক মানুষের কর্মসংস্থান হবে। উপজেলার মহজমপুর গ্রামের সমাজকর্মী মোহাম্মদ হোসেন বাংলানিউজকে বলেন, মেঘনার পাড়ের মৎস্য আড়তগুলোতে বছরে কম-বেশি ইলিশসহ নদীর বিভিন্ন প্রজাতির মাছ পাওয়া যায়। পর্যটন এলাকা গড়ে তুললে আগত ভ্রমণপিপাসুরা তাজা মাছের স্বাদ নিতে পারবে। এখন শুধুমাত্র পরিকল্পনা করে এগিয় আসা প্রয়োজন।
হাইমচর উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান নুর হোসেন পাটওয়ারী বাংলানিউজকে বলেন, পর্যটন এলাকা করার পরিকল্পনা করেই আমরা প্রায় আড়াই কিলোমিটার সড়ক মেঘনার পাড়ে ইট দিয়ে পাকা করেছি। কিন্তু পানির স্রোত ও মেঘনার ঢেউ সড়কটি ভেঙে গেছে। পর্যটনকেন্দ্র করার পরিকল্পনা আমাদের রয়েছে এবং সে আলোকে কাজ করছি। মেঘনার পাড়ে পর্যটনকেন্দ্র গড়ে উঠলে দেশের যেকোনো স্থানের মানুষ এখানে এসে খুবই চমৎকার সময় কাটাতে পারবে।
বাংলাদেশ সময়: ০৮৪৯ ঘণ্টা, জানুয়ারি ০৬, ২০২১
এএটি