মাগুরা: মাগুরার শালিখা উপজেলার ছান্দড়া গ্রামের জমিদার বাড়িটি মুঘল আমলের প্রথমার্ধে নির্মাণ করেন জমিদার অলঙ্গল মোহন দেব রায়। এলাকায় জনশ্রুতি আছে যে, এ অঞ্চলের মধ্যে ছান্দড়ার জমিদার অত্যন্ত প্রতাপশালী ছিলেন।
এছাড়াও এখানে রয়েছে জমিদারের নির্মিত শান বাঁধানো একটি পুকুর ঘাট, দুর্গা ও কালি মন্দির। এখানে রয়েছে জমিদারের ব্যবহৃত একটি হাতিশালা, যা ব্যাঙ নদীতে বিলুপ্ত। জমিদারের অস্তিত্বের কাল সাক্ষী হয়ে টিকে আছে শতবর্ষী একটি আম গাছ।
তাছাড়া ছান্দড়া গ্রামে বাংলাদেশ বংশোদ্ভূত, ভারতীয় সাবেক ক্রিকেট তারকা তথা কলকাতার রাজপুত্র সৌরভ গাঙ্গুলীর জন্মস্থানও ওই জমিদার বাড়ির পাশেই। এমনকি জমিদার বাড়ির অদূরেই বাউল মাহেদ্র সাধকের বাড়ি।
জমিদারের জমিদারি না থাকলেও কালের সাক্ষী হিসেবে মাথা উচু করে দাঁড়িয়ে আছে শতবর্ষী বট বৃক্ষ।
মাগুরা শালিখা উপজেলা সীমাখালী বাজার থেকে তিন কিলোমিটার এগিয়ে গেলেই জমিদার বাড়ি ও ক্রিকেট তারকা সৌরভ গাঙ্গুলীর জন্ম ভিটা দেখতে পাবেন।
জনশ্রুতি আছে যে, ছান্দড়া জমিদার বাড়িটি ঠিক কত সালে নির্মাণ করা হয় তার সঠিক কোন তথ্য নেই। তবে ধারণা করা হয় প্রায় একশ’ বছর আগে এটি তৈরি করা হয়েছে।
ছান্দড়া গ্রামের স্থানীয় বাসিন্দা অমল কৃষ্ণ মালাকার বাংলানিউজকে বলেন, জমিদার অলঙ্গল মোহন দেব রায় এ বাড়িটি তৈরি করেন। মুঘল আমলে এখান থেকে জমির খাজনা, করসহ জমিদারী শাসন কার্য পরিচালিত হতো। তবে বাড়িটি ভেঙে পড়েছে।
তিনি আরও বলেন, জমিদার বাড়িটির পাশে গড়ে ওঠেছে সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়। পাশেই ছান্দড়া মাধ্যমিক বিদ্যালয়। পাশ দিয়ে বয়ে গেছে চিত্রা নদী। প্রতিদিন ভ্রমণ পিপাসুরা জমিদার বাড়িটি দেখতে আসেন। বাড়িটির অস্তিত্ব রক্ষা করতে পারলে এটি এলাকার পর্যটন কেন্দ্র হতে পারে।
শালিখা উপজেলা নির্বাহী অফিসার আব্দুল বাতেন বাংলানিউজকে বলেন, উপজেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে জমিদার বাড়ির পুরনো স্মৃতি রক্ষায় আমরা কাজ করছি।
বাংলাদেশ সময়: ০৭৫৮ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ২১, ২০২১
জেডএ