এরই ধারাবাহিকতায় বৃহস্পতিবার (১২ জানুয়ারি) পর্যন্ত ইউরোপ, আমেরিকা, সৌদিআরবসহ বিশ্বের ৭৯টি দেশ থেকে আসা ৪ হাজার ৮০০ জন বিদেশি মুসল্লি এবারের ইজতেমায় অংশগ্রহণ করেছেন।
বিশ্ব ইজতেমার আয়োজক কমিটির মুরুব্বি প্রকৌশলী মো. গিয়াস উদ্দিন বাংলানিউজকে জানিয়েছেন, প্রতি বছরই বিশ্বের বিভিন্ন দেশ থেকে বিদেশি মুসল্লিরা বিশ্ব ইজতেমায় অংশগ্রহণ করতে আসেন।
তিনি আশা প্রকাশ করে বলেন, এ বছর একশ’র বেশি দেশ থেকে আসা মুসল্লিরা বিশ্ব ইজতেমায় অংশগ্রহণ করবেন।
এর আগে, ২০১৬ সালে অনুষ্ঠেয় বিশ্বের ৮৮টি দেশের ১৮ হাজারের বেশি বিদেশি মুসল্লি তুরাগ তীরে বিশ্ব ইজতেমায় অংশ নিয়েছিলেন।
তবে এ বছর বিশ্ব ইজতেমায় বিশ্বের বিভিন্ন দেশ থেকে আগত এসব মুসল্লিদের প্রতি আইন শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যদের বিশেষ নজরদারি থাকছে।
র্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়ন (র্যাব) এর মহাপরিচালক (ডিজি) বেনজীর আহমেদ বলেন, বিদেশি মুসল্লিদের প্রতি বিশেষ নজরদারি রাখা হয়েছে। যুদ্ধবিধ্বস্ত দেশগুলো থেকে যারা আসছে তাদের পাসপোর্ট ও ব্যাকগ্রাউন্ড যাচাই বাছাই করা হচ্ছে। তাদের প্রতি রয়েছে বিশেষ নজরদারি।
এদিকে, ইজতেমায় আসা বিদেশি মুসল্লিদের নিরাপত্তার স্বার্থে তাদের চলাফেরায় কিছু বিধিনিষেধ আরোপ করা হয়েছে। তাদের জন্য আলাদা নিরাপত্তাবেষ্টনী তৈরি করা হয়েছে। সেখানে ময়দানের স্বেচ্ছাসেবকরাই কঠোর নিরাপত্তা নিশ্চিত করবেন।
বিশ্ব ইজতেমার ময়দানে আগত সব বিদেশি মেহমানদের সার্বিক নিরাপত্তা ও তাদের উপর বাড়তি নজরদারি থাকবে বলে জানিয়েছেন গাজীপুর জেলার পুলিশ সুপার (এসপি) হারুন অর রশিদ।
এ বছর ইজতেমার প্রথম পর্ব হবে ১৩, ১৪ ও ১৫ জানুয়ারি এবং দ্বিতীয় পর্ব হবে ২০, ২১ ও ২২ জানুয়ারিতে।
উল্লেখ্য, ১৯৬৭ সাল থেকে বিশ্ব ইজতেমা নিয়মিত অনুষ্ঠিত হচ্ছে। তবে ১৯৯৬ সালে একই বছর দুইবার বিশ্ব ইজতেমা অনুষ্ঠিত হয়েছিল। স্থান সংকুলান না হওয়ায় এবং মুসল্লিদের চাপ ও দুর্ভোগ কমাতে ২০১১ সাল থেকে দুই পর্বে ইজতেমা আয়োজন করা হচ্ছে।
বাংলাদেশ সময়: ২১৩০ ঘণ্টা, জানুয়ারি ১২, ২০১৭
এসজেএ/আরআই