শনিবার সকাল ১০টায় কক্সবাজার বিমানবন্দরে অবতরণ করেই প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বিমানবন্দরের সম্প্রসারিত রানওয়েতে সুপরিসর ৭৩৭-৮০০ বোয়িং বিমান চলাচলের উদ্বোধন করবেন। এরপর সকাল সাড়ে ১১টায় উখিয়ার ইনানী থেকে কক্সবাজার-টেকনাফ মেরিন ড্রাইভ সড়কের উদ্ধোধন করবেন তিনি।
বিকেলে জেলা আওয়ামী লীগ আয়োজিত জনসভায় যোগ দেবেন প্রধানমন্ত্রী। সেখান থেকেই উদ্বোধন করবেন নবনির্মিত কক্সবাজার মেডিকেল কলেজের একাডেমিক ভবন, কক্সবাজার সরকারি মহিলা কলেজের ১০০ শয্যাবিশিষ্ঠ ছাত্রীনিবাস, কক্সবাজার সরকারি কলেজের একাডেমিক ভবন কাম এক্সামিনেশন হল, কক্সবাজার সরকারি কলেজের ১০০ শয্যাবিশিষ্ঠ ছাত্রীনিবাস, উখিয়ার বঙ্গমাতা ফজিলাতুন্নেছা মহিলা কলেজের দ্বিতল একাডেমিক ভবন ও মহেশখালী আনোয়ারা গ্যাস সঞ্চালন পাইপলাইন।
জনসভাস্থল থেকেই ৮টি নতুন প্রকল্পের ভিত্তি প্রস্তর স্থাপন করা হবে। এগুলো হল কক্সবাজার বিমানবন্দর উন্নয়ন প্রকল্পের আওতায় পৌরসভার বাকখালী নদীর খুরুশকূল ঘাটে ৫৯৫ মিটার দৈর্ঘ্যের বক্সপার্ডার ব্রিজ, কক্সবাজার মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল, কক্সবাজার আইটি পার্ক, বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ মন্ত্রণালয়ের অধীনে এলএনজি (লিকুফাইড ন্যাচারাল গ্যাস) টার্মিনাল, এফটি এসপিএম (ইনস্টলেশন অব সিংগেল পয়েন্ট মুভিং) প্রকল্প, নাফ ট্যুরিজম পার্ক, কুতুবদিয়া কলেজের একাডেমিক ভবন ও কক্সবাজার উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের (কউক) অফিস ভবনের ভিত্তি প্রস্তর স্থাপন করবেন প্রধানমন্ত্রী। সেখান থেকে ঢাকার উদ্দেশ্যে যাত্রা করবে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
এ বিষয়ে কক্সবাজার জেলা প্রশাসক মো. আলী হোসেন বলেন, প্রধানমন্ত্রী প্রতিবারই কক্সবাজারের জন্য নতুন নতুন উপহার নিয়ে আসেন। এবারও তার ব্যতিক্রম হচ্ছে না। এবার কক্সবাজার এসে প্রধানমন্ত্রী ১০টি প্রকল্পের উদ্বোধন ও ৮টি প্রকল্পের ভিত্তি প্রস্তর স্থাপন করবেন।
বাংলাদেশ সময়: ১৩৫০ ঘন্টা, মে ০৪, ২০১৭
টিটি/আইএসএ/টিসি