জানা যায়, বৃহত্তর বন্দর এলাকায় ৫৪টি শূন্য পদের মধ্যে শান্টিং জমাদার পদে ২১, শান্টিং পোর্টাল পদে ১৩ ও পয়েন্টম্যান পদে ২০টি পদ খালি রয়েছে। এখানে ট্রেন চলাচলের জন্য লোকবল দরকার হলেও তৃতীয় ও চতুর্থ শ্রেণির পদে টিএলআর অর্থাৎ ৫ম শ্রেণির কর্মচারী নিয়োগ দেয়ার সুযোগ নেই।
কিন্তু ট্রেন চলাচলের জন্য জরুরি ভিত্তিতে নিয়োগের কথা বলে রেলওয়ের পূর্বাঞ্চল পরিবহন বিভাগ সদ্য অবসরপ্রাপ্ত অপারেশনাল স্টাফ থেকে বিভিন্ন এলসি গেইটের বিপরীতে টিএলআর পদে ওই ১৫জনকে বন্দর এলাকায় নিয়োগ দেয়, যেখানে রেলওয়ের কোড ফর দ্যা ইঞ্জিনিয়ারিং ডিপার্টমেন্ট অনুচ্ছেদ-১০০৩ উপ-অনুচ্ছেদ (১১) অনুসরণ করা হয়নি।
সংশ্লিষ্টরা বলছেন, টিএলআর নিয়োগ সংক্রান্ত জটিলতা তৈরি হলে বৃহত্তর বন্দর এলাকায় ফ্রেইট ট্রেন অপারেশনাল কার্যক্রম বন্ধ হয়ে যেতে পারে।
নাম প্রকাশ না করার শর্তে কয়েকজন টিএলআর কর্মচারী বাংলানিউজকে বলেন, আমাদেরকে আগে যদি বলতো বেতন দেবে না তাহলে কাজ করতাম না। নিয়োগ দিয়ে, দুই মাস কাজ করিয়ে বেতন দিচ্ছে না। আমাদের সংসার চলবে কীভাবে?
বিষয়টি স্বীকার করে রেলওয়ে পূর্বাঞ্চলের প্রধান পরিবহন কর্মকর্তা রশিদা সুলতানা গণি বাংলানিউজকে বলেন, বন্দর গুরুত্বপূর্ণ এলাকা। লোকবল সংকটের কারণে ট্রেন চলাচল বন্ধ হয়ে যাওয়ার উপক্রম হলে অস্থায়ী ভিত্তিতে ওই ১৫ জনকে নিয়োগ দেওয়া হয়। কিন্তু এখনও অর্থ বিভাগ অনুমোদন না করায় তাদের বেতন হয়নি। আমরা তাদের সঙ্গে বেতনের ব্যাপারে নিয়মিত সভা করছি।
এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, জরুরি ভিত্তিতে নিয়োগ দিতে গিয়ে অর্থ বিভাগ থেকে অনুমতি নেওয়া হয়নি।
রেলওয়ে পূর্বাঞ্চলের অর্থ উপদেষ্টা ও প্রধান হিসাব অধিকর্তা কামরুন নাহার বলেন, ‘সরকারি বিধান অনুযায়ী পদ শূন্য থাকলে নিয়োগ দেওয়া যায়। কিন্তু তাদের যে পদে নিয়োগ দেওয়া হয়েছে ওই পদ শূন্য ছিল না। এছাড়া অনুমতিও নেওয়া হয়নি। তাহলে তাদের বেতন কীভাবে দেব?’
বাংলাদেশ সময়: ০৯২০ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ২৪, ২০১৯
জেইউ/এসি/টিসি