ঢাকা, মঙ্গলবার, ১১ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৬ নভেম্বর ২০২৪, ২৪ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

চট্টগ্রাম প্রতিদিন

সোনালি আঁশে নতুন সম্ভাবনা আরআর জুট মিলে

আল রাহমান, সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৩৪৪ ঘণ্টা, আগস্ট ২৪, ২০১৯
সোনালি আঁশে নতুন সম্ভাবনা আরআর জুট মিলে বাড়বকুণ্ডের আরআর জুট মিলস লিমিটেড।

চট্টগ্রাম: সোনালি আঁশ খ্যাত পাট থেকে কার্পেট ব্যাকিং ক্লথ (সিবিসি) তৈরি করে বৈদেশিক মুদ্রা আয় করছে সীতাকুণ্ড উপজেলার বাড়বকুণ্ডের আরআর জুট মিলস লিমিটেড। ১৫০ থেকে ১৬৩ দশমিক ৫ ইঞ্চি চওড়া (বহর) এবং ৯৫০ থেকে ১ হাজার গজ দীর্ঘ সিবিসি তৈরি হয় এখানে।

প্রতিষ্ঠানটিতে উৎপাদিত সব সিবিসি রফতানি করা হয় অস্ট্রেলিয়া ও নিউজিল্যান্ডে। টনপ্রতি রফতানি মূল্য প্রায় ১ লাখ ২৩ হাজার টাকা।

এর সঙ্গে যোগ হয় পাটজাত পণ্য রফতানিতে সরকার ঘোষিত ১২ শতাংশ ভর্তুকি (সাবসিডি)। প্রতি মাসে ১০০-১২০ টন এবং বছরে ১ হাজার ২০০ টন সিবিসি উৎপাদন হয় এ কারখানায়।

বাড়বকুণ্ডের আরআর জুট মিলস লিমিটেড। ময়মনসিংহ, পাবনা, ফরিদপুর থেকে বেপারি ও ঠিকাদারদের মাধ্যমে সংগৃহীত শুকনো পাট থেকে বেশ কিছু ধাপ ও প্রক্রিয়ার পর তৈরি হয় সিবিসি। ভোর ৬টা থেকে রাত ১০টা পর্যন্ত দুই পালায় আট ঘণ্টা করে কাজ করেন শ্রমিকরা। এখানকার নিয়ম হচ্ছে-৪ ঘণ্টা পর এক পালার শ্রমিকরা বিশ্রামে যান, তখন দ্বিতীয় পালার শ্রমিকরা কাজ করেন। এরপর তারা বিশ্রামে চলে যান। আগের পালার শ্রমিকরা কাজে যোগ দেন। বিদেশি ক্রেতাদের (বায়ার) কার্যাদেশ, চট্টগ্রাম বন্দরে শিপমেন্টের ওপর নির্ভর করে ছুটির দিনও কাজ চলে পুরোদমে।

বাংলাদেশ জুট মিল করপোরেশনের (বিজেএমসি) অধীন আরআর জুট মিল প্রতিষ্ঠিত হয় ১৯৬৮ সালে। ১৯৭২ সালের ২৬ মার্চ প্রেসিডেন্ট অর্ডারে প্রতিষ্ঠানটি জাতীয়করণ হয়। ১৯৭২-৭৩ সালে বাণিজ্যিকভাবে উৎপাদন শুরু হয় এ প্রতিষ্ঠানে। ৪ দশমিক ৮৫ একরজুড়ে কারখানা, ৪ দশমিক ৩২ একর আবাসিক এলাকা, দশমিক ৪৬ একর বাগান নিয়ে ৯ দশমিক ৬৩ একর জমি রয়েছে এ প্রতিষ্ঠানের। যেখানে রয়েছে সিবিসি তৈরির উপযোগী ৭০টি তাঁত, কারখানা ভবন, পাট গুদাম, সমাপনী গুদাম, বয়লার, ওয়ার্কশপ, ক্যান্টিন, পাম্প হাউস, মসজিদ, গ্যারেজ, চিকিৎসা কেন্দ্র, পুকুর ইত্যাদি।

সোনালি আঁশ।  নাম প্রকাশ না করার শর্তে প্রতিষ্ঠানের একজন কর্মকর্তা বাংলানিউজকে বলেন, ১৫০ জন স্থায়ী শ্রমিক, ৪৫০ জন দৈনিক মজুরি ভিত্তিক শ্রমিক, ১৪ জন কর্মকর্তা, ৪০ জন ম্যানুয়েল ও ১৩ জন ক্লারিক্যাল কর্মচারী রয়েছেন বর্তমানে। যদিও ৪৫ জন কর্মকর্তা ও ৯৫ জন কর্মচারীর অনুমোদিত পদ রয়েছে। জনবল কম হলেও পাটশিল্পের এ দুর্দিনে আরআর জুট মিলসের শ্রমিকরা খুশি। নিয়মিত বেতন-ভাতা, ছুটি উপভোগ করেন তারা। কর্তৃপক্ষ ৯০ হাজার টাকা খরচ করে পানীয়জলের একটি প্ল্যান্ট দিয়েছে, যেখানে ঘণ্টায় ৬০ লিটার আর্সেনিক ও জীবাণুমুক্ত পানি পাওয়া যায়।

বাংলাদেশ সময়: ০৯৩০ ঘণ্টা, আগস্ট ২৪, ২০১৯
এআর/এসি/টিসি

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।