শুক্রবার (১৭ এপ্রিল) প্রধানমন্ত্রীর মুখ্যসচিব ও মন্ত্রিপরিষদ সচিবের কাছে পাঠানো এক চিঠিতে এ কথা বলেন।
চিঠিতে তিনি বর্তমান পরিস্থিতিতে দেশের ব্যবসা বাণিজ্য, শিল্পোৎপাদন, আমদানি-রফতানি বিনিয়োগ তথা প্রাইভেট সেক্টরকে সহায়তা করার লক্ষ্যে মাননীয় প্রধানমন্ত্রী কর্তৃক গৃহীত ৭২ হাজার ৭৫০ কোটি টাকার প্যাকেজ কার্যক্রমের জন্য আন্তরিক ধন্যবাদ ও কৃতজ্ঞতা জানান।
চেম্বার সভাপতি বলেন, করোনাভাইরাস জনিতকারণে বর্তমানে সরকারিভাবে সাধারণ ছুটি চলমান রয়েছে। সারা দেশে সবধরনের কর্মকাণ্ড বন্ধ থাকলেও নিত্যপ্রয়োজনীয় ভোগ্যপণ্য, জরুরি ওষুধ ও কাঁচামাল ইত্যাদি আমদানি ও সারাদেশে সরবরাহ অব্যাহত রয়েছে।
আমদানি, রফতানি কার্যক্রম অব্যাহত রাখার লক্ষ্যে প্রধান আমদানি-রফতানি নিয়ন্ত্রকের কার্যালয়, ঢাকা এবং চট্টগ্রাম আঞ্চলিক কার্যালয় খোলা রাখা অত্যন্ত প্রয়োজন যাতে করে সংশ্লিষ্ট আমদানিকারকরা প্রয়োজনীয় সরকারি অনুমতিপত্র ইত্যাদি সংগ্রহ করতে পারেন এবং কাঙ্ক্ষিত সময়ের মধ্যে প্রয়োজনীয় কাজ সম্পন্ন করতে পারেন।
বাংলাদেশ পেট্রোলিয়াম করপোরেশন ও এর অঙ্গ প্রতিষ্ঠান পদ্মা, মেঘনা, যমুনা, ইস্টার্ন রিফাইনারি, এলপি গ্যাস লিমিটেড ইত্যাদি চালু রাখার মাধ্যমে দেশে জ্বালানি সরবরাহ অব্যাহত রাখা জরুরি যাতে করে প্রয়োজনীয় সেবাসমূহ, গ্যাস, বিদ্যুৎ ইত্যাদি উৎপাদন ও বিতরণ ব্যবস্থা সচল রাখা সম্ভব হয়।
যেহেতু নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যগুলো সারা দেশে পরিবহন অব্যাহত রয়েছে তাই এসব পরিবহনের রেজিস্ট্রেশন ও প্রয়োজনীয় কাগজপত্র নবায়নের জন্য বাংলাদেশ রোড ট্রান্সপোর্ট অথরিটি (বিআরটিএ) খোলা রাখা দরকার।
প্রয়োজনীয় সেবাদানকারী ও শিল্প প্রতিষ্ঠানের পরিবেশগত ছাড়পত্র আবশ্যক যা যথাসময়ে সংশ্লিষ্ট দফতর থেকে নবায়ন করতে হয়। তাই এসব প্রতিষ্ঠানের পরিবেশগত ছাড়পত্র নবায়নের লক্ষ্যে সংশ্লিষ্ট দফতর সীমিত আকারে খোলা রাখা প্রয়োজন।
বর্তমানে বিভিন্ন সমস্যার ফলে সময়মতো ছাড় করতে না পারার কারণে চট্টগ্রাম বন্দরে অনেক রেফারেল কনটেইনার আটকে আছে। স্থান সংকুলান না হওয়ায় অনেক জাহাজ রেফারেল কনটেইনার নিয়ে বন্দরে অতিরিক্ত সময় অবস্থান করতে বাধ্য হচ্ছে। যার ফলে ডেমারেজ চার্জের কারণে সংশ্লিষ্ট আমদানিকারকের ব্যয় অনেকাংশে বাড়ছে। এ প্রেক্ষিতে বন্দরে অবস্থিত রেফারেল কনটেইনার দ্রুত ছাড়করণের ব্যবস্থা করা প্রয়োজন।
বাংলাদেশ সময়: ১০৪৪ ঘণ্টা, এপ্রিল ১৭, ২০১০
এআর/এসকে/টিসি