বাঁশখালী কৃষি সম্প্রসারণ কার্যালয় সূত্রে জানা গেছে, কালীপুর, বৈলছড়ি, সাধনপুর, পুঁইছড়ি, চাম্বল, জলদীতে প্রায় ৭শ হেক্টর জমিতে লিচুর আবাদ হয়েছে। এরমধ্যে কালীপুরেই লিচুর আবাদ হয়েছে ৩শ হেক্টর জমিতে।
কালীপুরের লিচু বাগান মালিক জালাল উদ্দিন বলেন, পাহাড়ে তিনটি বাগানে এক হাজার লিচু গাছে ভালো ফলন হয়েছে।
কালীপুরের উপ-সহকারী কৃষি কর্মকর্তা নয়ন বড়ুয়া বলেন, এখানকার ৩শ হেক্টর জমিতে লিচুর আবাদ হয়েছে। গত বছরের তুলনায় এ বছর আবাদ বেড়েছে। এখানে চায়না থ্রি জাতের লিচুর চেয়ে কালীপুরের স্থানীয় জাতের লিচুর চাষ বেশি হয়। বাগানে ফলন ভালো হয়েছে।
পাইকারি লিচু ব্যবসায়ী মো. জসিম বলেন, এ বছর বেশ আগেই কয়েকটি লিচু বাগান কিনে নিয়েছিলাম। এরপর বাগানের পাহারায় শ্রমিক নিয়োগ দিতে হয়েছে। খরচও বেড়েছে। এখন করোনার কারণে লিচু বাইরে পাঠাতেও সমস্যা হচ্ছে। তবে দাম ভালোই মিলছে।
জানা গেছে, একশটি লিচু আকারভেদে ২০০ থেকে ৫০০ টাকা দরে বিক্রি করা হচ্ছে। কালীপুরের লিচু আকারে ছোট হলেও সুস্বাদু। তাতে কোনো ধরনের বিষ বা রাসায়নিক দেওয়া হয় না। ফলে সবার কাছে এ লিচুর কদর রয়েছে।
পাশাপাশি চায়না-থ্রি ও চায়না-টু জাতের লিচুও বিক্রি হচ্ছে। চায়না থ্রি জাতের লিচুর শাঁস বেশ মাংসল হয়। তবে ফলন এসেছে দেরিতে। এ জাতের গাছ ছোট থেকে মাঝারি আকারের হয়ে থাকে, গড় উচ্চতা প্রায় ৫ থেকে ৬ মিটার হয়। গাছপ্রতি গড় ফলন ১০৪ কেজি, তবে প্রতিবছরই বা নিয়মিতভাবে ফল ধরে না। এ জাতের লিচু বড় ও গোলাকার হয় এবং গড় ওজন প্রায় ২৫-৩০ গ্রাম।
কালীপুর ইউপি চেয়ারম্যান অ্যাডভোকেট আ ন ম শাহাদত আলম বলেন, যুগ যুগ ধরে এই এলাকার চাষিরা লিচু চাষ করে আসছে। বাঁশখালীতে সবচেয়ে বেশি লিচুর ফলন ও চাষ হয় কালীপুর এলাকায়। প্রতি বছর এখানকার চাষিরা প্রায় কোটি টাকার লিচু বিক্রি করেন। দেশের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে পাইকাররা এসে লিচু কিনে নিয়ে যায়।
বাঁশখালী উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা আবু সালেক বলেন, বাঁশখালীতে প্রায় ৭০০ হেক্টর জায়গাজুড়ে লিচু চাষ হয়েছে। পুষ্টিগুণের দিক দিয়ে এখানকার লিচু বেশ ভালো। চাষিরা এখন প্রযুক্তির বদৌলতে ভালো জাতের লিচু চাষ করছে। তারা ফলনও ভালো পাচ্ছে।
বাংলাদেশ সময়: ১১২০ ঘণ্টা, মে ১৫, ২০২০
এসি/টিসি