রোববার (১৭ নভেম্বর) ভোর ৬টা থেকে সকাল ৮টা পর্যন্ত মানিকগঞ্জের পেঁয়াজের বিভিন্ন আড়ৎ ও বাজার ঘুরে এমন চিত্র দেখা যায়।
সরেজমিনে দেখা যায়, মানিকগঞ্জের কয়েকটি আড়তে পেঁয়াজ বিক্রি হচ্ছে ১৯০ থেকে ২০০ টাকায়।
জাগীর বন্দর আড়তের পেঁয়াজ ব্যবসায়ী হুমায়ুন আহমেদ বাংলানিউজকে বলেন, শনিবার পাইকারি পেঁয়াজ বিক্রি করেছি ২৩০ টাকায়। অথচ রোববার সকাল থেকে বিক্রি করছি ২০০ টাকা করে। বাজারে এলসি ও নতুন পেঁয়াজ আসার কারণে দাম কমেছে। তাছাড়া, দেশি পেঁয়াজ বেশি দিন রাখলে পচে যাওয়ার সম্ভবনা আছে। এ কারণে অনেকেই লোকসানে পেঁয়াজ বিক্রি করে দিচ্ছেন।
একই আড়তের পেঁয়াজ ব্যবসায়ী ইদ্রিস আলী বাংলানিউজকে বলেন, শুক্রবার ঝিটকা থেকে ৯ হাজার ৫৪০ টাকা করে প্রতি মণ পেঁয়াজ কিনেছিলাম, প্রতি কেজির দাম পড়েছিল ২৩৮ টাকা করে। অথচ রোববার সেই পেঁয়াজ খুচরা ব্যবসায়ীদের কাছে বিক্রি করছি ১৯০ টাকা করে। লোকসান হচ্ছে, তারপরও ছেড়ে দিচ্ছি। কারণ, বাজারে পেঁয়াজের দাম পড়ে গেছে। এই দামে এখনই বিক্রি না করলে পচে যাওয়ার সম্ভবনা আছে।
মানিকগঞ্জ বাসস্ট্যান্ড কাঁচামাল আড়ৎ ব্যবসায়ী সমবায় সমিতির সাধারণ সম্পাদক রফিকুল ইসলাম লাভলু বাংলানিউজকে বলেন, সরকার পেঁয়াজ আমদানি করায় ও নতুন পেঁয়াজ বাজারে আসায় দাম কমেছে। তাছাড়া, মজুদ পেঁয়াজ পচে যাওয়ার ভয়ে অনেকেই দ্রুত বিক্রির জন্য বাজারে আনতে শুরু করেছে। এ কারণে পেয়াজের দাম প্রতি কেজিতে ২০ থেকে ৩০ টাকা করে কমে গেছে।
জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তর মানিকগঞ্জ জেলা কার্যালয়ের সহকারী পরিচালক আসাদুজ্জামান রুমেল বাংলানিউজকে বলেন, আমদানি করা পেঁয়াজ সারা দেশে ছড়িয়ে পড়লে দাম আরও অনেক কমে আসবে। এছাড়া, আমরা প্রতিনিয়ত বাজার মনিটরিং করছি, যাতে কোনো ব্যবসায়ী সিন্ডিকেট অতিরিক্ত অর্থ আদায় করতে না পারে। বাজার মনিটরিং অব্যাহত থাকবে বলেও জানান এই কর্মকর্তা।
বাংলাদেশ সময়: ০৯৫০ ঘণ্টা, নভেম্বর ১৭, ২০১৯
একে