ঢাকা, সোমবার, ৯ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৫ নভেম্বর ২০২৪, ২৩ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

অর্থনীতি-ব্যবসা

উন্নয়ন মেলায় ৩ কোটি টাকার পণ্য বেচাকেনা

সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ০২০৯ ঘণ্টা, নভেম্বর ১৯, ২০১৯
উন্নয়ন মেলায় ৩ কোটি টাকার পণ্য বেচাকেনা উন্নয়ন মেলায় দর্শনার্থীরা তাদের পছন্দের পণ্য দেখেন/ছবি- জি এম মুজিবুর

ঢাকা: গ্রামীণ অর্থনীতি শক্তিশালী করার মাধ্যমে টেকসইভাবে দারিদ্র্য বিমোচনের লক্ষ্যে ক্ষুদ্র উদ্যোগ বিকাশে আরো বেশি অর্থায়ন, প্রশিক্ষণ, কারিগরি ও বাজারজাতকরণ সহায়তার আহ্বান জানিয়ে শেষ হলো ‘উন্নয়ন মেলা ২০১৯’র আনুষ্ঠানিকতা।

দেশের বিভিন্ন অঞ্চলের সরকারি ও বেসরকারি সংস্থা, গবেষণা ও তথ্যপ্রযুক্তি প্রতিষ্ঠান, সেবামুখী সংগঠনসহ ১৩০টি সংস্থার প্রায় ১৯০টি স্টল মেলায় স্থান পায়। প্রদর্শন ও বিক্রি হয় ক্ষুদ্র উদ্যোক্তাদের বিভিন্ন সেবা ও পণ্য।

 

মেলায় গত বৃহস্পতিবার (১৪ নভেম্বর) থেকে সোমবার (১৮ নভেম্বর) পর্যন্ত তিন কোটি টাকার ৪৫০ ধরনের পণ্য বিক্রি হয়েছে।
 
সোমবার বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রের হল অব ফেমে অনুষ্ঠিত সমাপনী অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন পরিকল্পনামন্ত্রী এম এ মান্নান, তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক, পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন বিষয়ক উপমন্ত্রী হাবিবুন নাহার। অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন পিকেএসএফ চেয়ারম্যান ড. কাজী খলীকুজ্জমান আহমদ।
 
স্বাগত বক্তব্যে পিকেএসএফ’র ব্যবস্থাপনা পরিচালক মোহাম্মদ মঈনউদ্দীন আবদুল্লাহ বলেন, তৃণমূল পর্যায়ে ক্ষুদ্র উদ্যোক্তাদের উৎপাদিত এমন ৪৫০ ধরনের পণ্য এবারের উন্নয়ন মেলায় প্রদর্শিত হচ্ছে। মেলায় প্রতিদিন গড়ে ৪৫ হাজার দর্শনার্থী উপস্থিত ছিলেন এবং প্রায় তিন কোটি টাকার পণ্য বিক্রি হয়েছে। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এবারের উন্নয়ন মেলার উদ্বোধন করার মাধ্যমে তৃণমূল থেকে মেলায় অংশগ্রহণ করা ক্ষুদ্র উদ্যোক্তাদের অনুপ্রাণিত করেছেন।

পলক বলেন, পিকেএসএফ বলে কম, করে বেশি। জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান পল্লী উন্নয়নকে বাংলাদেশের সামগ্রিক উন্নয়নের পূর্বশর্ত হিসাবে অভিহিত করেছিলেন। পিকেএসএফ সেই শর্ত পূরণে কাজ করছে। তিনি জানান, অন্তর্ভূক্তিমূলক উন্নয়ন সূচকে বাংলাদেশ দক্ষিণ এশিয়ায় প্রথম, বিশ্বে ৩৪তম।

বিশেষ অতিথি পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন বিষয়ক উপমন্ত্রী হাবিবুন নাহার অতিদরিদ্র ও পশ্চাৎপদ মানুষের ভাগ্যোন্নয়নে পিকেএসএফ’র কার্যক্রমের ভূয়সী প্রশংসা করেন। উন্নয়ন মেলায় নারী উদ্যোক্তাদের প্রদর্শিত পণ্যের বাজার দেশের বাইরেও সম্প্রসারণ করার ওপর গুরুত্বারোপ করেন তিনি।

অনুষ্ঠানের সভাপতি ড. কাজী খলীকুজ্জমান আহমদ বলেন, পিকেএসএফ’র লক্ষ্য পিছিয়ে পড়া, পিছিয়ে থাকা এবং পিছিয়ে রাখা মানুষের অন্তর্ভূক্তিমূলক আর্থ-সামাজিক উন্নয়ন ও তাদের মানবমর্যাদা নিশ্চিত করা। দেশের বিভিন্ন প্রান্তে গণমানুষের দোরগোড়ায় বিভিন্ন ধরনের বহুমাত্রিক, দীর্ঘমেয়াদি, মানবকেন্দ্রিক সেবা পৌঁছে দেওয়া হচ্ছে।

প্রদর্শিত পণ্যগুলোর মধ্যে তিনটি পণ্য ‘সম্ভাবনাময় পণ্য’ হিসাবে নির্বাচিত হয়। ইকো-সোশ্যাল ডেভেলপমেন্ট অর্গানাইজেশনের (ইএসডিও) মোজারেলা চিজ, পরিবার উন্নয়ন সংস্থার ভার্টিক্যাল ক্র্যাব কালচার এবং দ্বীপ উন্নয়ন সংস্থার পরিবেশবান্ধব ও টেকসই নির্মাণ সামগ্রী। এছাড়া, ‘সেরা স্টল’ শ্রেণিতে প্রথম পুরস্কার পায় গ্রাম বিকাশ কেন্দ্র, প্রথম রানার-আপ গ্রামীণ জন উন্নয়ন সংস্থা ও দ্বিতীয় রানার-আপ উন্নয়ন প্রচেষ্টা।

বাংলাদেশ সময়: ২১০৮ ঘণ্টা, নভেম্বর ১৮, ২০১৯
এমআইএস/জেডএস

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।