সোমবার (১০ ফেব্রুয়ারি) বিকেলে রাজধানীর ইস্কাটনে বাংলাদেশ ইনস্টিটিউট অব ইন্টারন্যাশনাল অ্যান্ড স্ট্র্যাটেজিক স্টাডিজ (বিআইআইএসএস) অডিটোরিয়ামে এ ওয়ার্কশপ অনুষ্ঠিত হয়।
বিআইআইএসএস এবং ইউনাইটেড নেশনস ডিপার্টমেন্ট অব ইকনোমিক অ্যান্ড সোশ্যাল অ্যাফেয়ার্স (ইউএনডিইএসএ) যৌথভাবে এ ওয়ার্কশপের আয়োজন করে।
এ কর্মশালায় প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন পরিকল্পনা কমিশনের সাধারণ অর্থনীতি বিভাগের সিনিয়র সচিব ড. শামসুল আলম। সভাপতিত্ব করেন বিআইআইএসএস’র চেয়ারম্যান রাষ্ট্রদূত এম ফজলুল করিম, স্বাগত বক্তব্য রাখেন প্রজেক্ট কো-অর্ডিনেটর ইউএনডিইএসএ নিউইয়র্কের নামসুক কিম ও প্রোগ্রাম অফিসার লিন ইয়াং।
প্যানেল আলোচনায় অংশ নেন বাংলাদেশ ইনস্টিটিউট অব ডেভেলপমেন্ট স্টাডিজের জ্যেষ্ঠ গবেষণা ফেলো ড. নাজনীন আহমেদ এবং অর্থনৈতিক সম্পর্ক বিভাগের অতিরিক্ত সচিব সুলতানা আফরোজ।
কর্মশালায় বক্তারা বলেন, বিআরআই ব্যবসা-বাণিজ্য এবং অর্থনৈতিক সংযুক্তির ক্ষেত্রে বাংলাদেশের জন্য একটি বিশাল সুযোগ। ২০১৬ সালে চীনের প্রেসিডেন্ট শি জিনপিং সফরের মধ্য দিয়ে বাংলাদেশ বিআরআই’র সদস্য হন। এর লক্ষ্য সাস্টেইনেবল ডেভেলপমেন্ট গোলস (এসডিজি) জাতীয় লক্ষ্যমাত্রা ‘ভিশন ২০২১’ এবং ভিশন ২০৪১ অর্জনের মধ্য দিয়ে জাতি হিসাবে বৈশ্বিক পরিমণ্ডলে অবস্থান অর্জন করা।
সেমিনারের উন্মুক্ত আলোচনা পর্বে বিভিন্ন মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র কর্মকর্তা, রাষ্ট্রদূত, জ্যেষ্ঠ সামরিক-বেসামরিক কর্মকর্তা, গণমাধ্যমকর্মী, বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক এবং শিক্ষার্থীরা অংশ নেন এবং বিআরআই প্রসঙ্গে তাদের মতামত তুলে ধরেন।
প্রধান অতিথির বক্তব্যে ড. শামসুল আলম বলেন, বাংলাদেশের ভেতরে এবং বাইরে যেকোনো ধরনের অর্থনৈতিক সিদ্ধান্ত বাংলাদেশের স্বার্থের অনুকূলে হলে আমরা সেখানে যোগ দেবো। আন্তর্জাতিক সম্পর্কের ক্ষেত্রে আমরা জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের দেখানো পথেই অগ্রসর হবো। অর্থাৎ কারো সঙ্গে বৈরিতা নয়, সবার সঙ্গে বন্ধুত্বপূর্ণ নীতি বজায় রাখবো। সব রাষ্ট্রই আমাদের বন্ধু, কেউ আমাদের শত্রু নয়।
তিনি বলেন, আন্তর্জাতিকভাবে যে প্রতিষ্ঠান এগিয়ে আসবে, যেখানে যোগ দিলে বাংলাদেশ লাভবান হবে, সে ক্ষেত্রে বাংলাদেশ এরকম প্রতিষ্ঠানে যোগ দেবে। সে উদ্দেশ্যেই বেল্ট অ্যান্ড রোড ইনিশিয়েটিভ প্রোগ্রামে বাংলাদেশ অংশ নিয়েছে।
বাংলাদেশ সময়: ১৯২৬ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ১০, ২০২০
আরকেআর/এফএম