এসব ফল ফরমালিনমুক্ত কি না তাও জানেন না বিক্রেতারা। এতে জনস্বাস্থ্য হুমকির মুখে পড়েছে।
ভোলা সদর রোড, চকবাজার, নতুন বাজার, বাংলা স্কুল মোড় ও বরিশাল দালালসহ বেশকিছু পয়েন্ট ঘুরে দেখা যায়- আম, জাম, লিচু, কাঁঠাল ও পেয়ারাসহ নানা ফলের সমারোহ ভোলার বাজারে। এসব ফল ব্যবসায়ীরা পসরা সাজিয়ে রেখেছেন। কিন্তু ফলগুলো কতটুকু নিরাপদ বা স্বাস্থ্যসম্মত তা নিয়ে ক্রেতাদের অভিযোগের শেষ নেই।
ফল কিনতে আসা ক্রেতা স্কুলশিক্ষক শাওন বাংলানিউজকে বলেন, বাজার এখন মৌসুমি ফলের ব্যাপক সমাগম। কিন্তু এসব ফল কিনে আমরা সন্তুষ্ট না। এটা ফরমালিমুক্ত কি না আমরা জানি না। বাসায় নিয়ে খাওয়ার পরে মনে হয় স্বাস্থ্য সম্মত নয়।
আরেক ক্রেতা ওষুধ ব্যবসায়ী সঞ্চয় দে বাংলানিউজকে বলেন, এসব ফল খেয়ে আমাদের জনস্বাস্থ্য অনেকটাই হুমকির মুখে পড়েছে। এ ফল খেলে নানা অসুখে আক্রান্ত হতে হয়। সাধারণ মানুষও ফল খেয়ে মাঝে মধ্যে অসুস্থ্য হয়ে পড়ছে।
আরেক ক্রেতা সাইফুল্লার অভিযোগ করে বলেন, করোনা পরিস্থিতিতে আমরা সবাই সতর্কভাবে চলাফেলার চেষ্টা করি। বিশেষ করে খাবার বিষেয়ে নজর রাখতে হয়। কিন্তু আমরা যে ফল খাচ্ছি তা পুরোপুরি স্বাস্থ্যসম্মত নয়।
ভোলার সিভিল সার্জন ডা. রতন কুমার ঢালী বাংলানিউজকে বলেন, ফরমালিন স্বাস্থ্যের জন্য ঝূঁকিপূর্ণ একটি রায়সায়নিক উপাদান। তাই যারা এসব ফল বিক্রি করবে তাদের বিরুদ্ধে প্রশাসনকে নিয়ে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
সব প্রতিকূলতা পেরিয়ে খুব শিগগিরই বাজারে ফরমালিনমুক্ত ফল বাজারে পাওয়া যাবে এমনটাই প্রত্যাশা ক্রেতাদের।
বাংলাদেশ সময়: ০৮২৫ ঘণ্টা, জুন ২৫, ২০০২
এনটি