রোববার (১৩ অক্টোবর) জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে এ মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়।
এসময় শিক্ষানবিশ আইনজীবীরা বলেন, ২০১৪ সালে বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের আইন বিভাগে প্রতি সেমিস্টারে ৫০ জন শিক্ষার্থী ভর্তির নিয়ম করে বাংলাদেশ বার কাউন্সিল।
শিক্ষার্থীরা অভিযোগ করে বলেন, বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষার্থী ভর্তির নামে আমাদের সঙ্গে প্রতারণা করছে। এখন এর দায় তাদেরই নিতে হবে। আমরা বার কাউন্সিলের সব আইন-কানুন মেনে জেলা জজ আদালতে শিক্ষানবিশ আইনজীবী হিসেবে কাজ করছি। আইন পেশায় যাবো, সবাই এমন প্রত্যাশা করছে। আমাদের সার্বিক পরিস্থিতি ও অপূরণীয় ক্ষতির কথা বিবেচনায় নিয়ে ২০১৯ সালের আইনজীবী তালিকাভুক্তির পরীক্ষায় অংশগ্রহণ নিশ্চিত করতে বাংলাদেশ বার কাউন্সিল ও জড়িত বিশ্ববিদ্যালয়গুলোকে কার্যকরী পদক্ষেপ নেওয়ার আহ্বান জানাচ্ছি।
পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করতে দেওয়া না হলে ভবিষ্যতে আরও কঠিন কর্মসূচি ঘোষণা করা হবে বলে জানান মানববন্ধনে অংশ নেওয়া শিক্ষার্থীরা। এই সমস্যা সমাধানে তারা রাষ্ট্রপতি, প্রধানমন্ত্রী ও প্রধান বিচারপতির হস্তক্ষেপ কামনা করেন।
মানববন্ধনে বক্তব্য রাখেন প্রিমিয়ার বিশ্ববিদ্যালয় ল অ্যালামনাই অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি অ্যাডভোকেট গাজী সাদেকুল আলম, সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট আকরাম চৌধুরী, অর্থ সম্পাদক মো. ফোরকান। শিক্ষানবিশ আইনজীবীদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন মহিউদ্দিন মিল্কি, সাজ্জাদ শিকদারসহ অন্যরা।
এদিকে, রোববার দুপুরে সুপ্রিম কোর্ট আইনজীবী সমিতি ভবনে সংবাদ সম্মেলন করে আইনজীবী অন্তর্ভুক্তি পরীক্ষায় সুযোগ দেওয়ার দাবি জানিয়েছেন বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় থেকে আইন বিভাগে উত্তীর্ণ শিক্ষার্থীরা।
আইনজীবী অন্তর্ভুক্তি পরীক্ষার জন্য আগামী ২২ নভেম্বর দিন নির্ধারণ করেছে বাংলাদেশ বার কাউন্সিল।
বাংলাদেশ সময়: ১৩২৩ ঘণ্টা, অক্টোবর ১৩, ২০১৯
এসএইচএস/একে