পরে রাত পৌনে ১টার দিকে বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. রাশিদ আসকারীর আশ্বাসে আন্দোলন স্থগিত করেন ছাত্রীরা।
প্রত্যক্ষদর্শী সূত্রে জানা যায়, হল প্রভোস্ট অধ্যাপক ড. সেলিনা নাসরিনের অপসারণ চেয়ে 'স্বৈরাচারী প্রভোস্টের পতন চাই', 'অন্যায়ভাবে হয়রানি আর মানবোনা', 'আমরা তার অত্যাচার মানবোনা', 'ভিসি স্যার আমরা এর সমাধান চাই,' লেখা সম্বলিত বিভিন্ন ফেস্টুন নিয়ে হলগেট খুলে গেটের সামনে অবস্থান নেন ছাত্রীরা।
পরে ঘটনাস্থলে বিশ্ববিদ্যালয়ের দায়িত্বপ্রাপ্ত প্রক্টর অধ্যাপক ড. পরেশ চন্দ্র বর্মণ ঘটনাস্থলে উপস্থিত হয়ে তাদের সঙ্গে কথা বলার চেষ্টা করেন। তবে ছাত্রীরা জানায়, উপাচার্য এসে প্রভোস্টকে অপসারণ করার ঘোষণা না দেওয়া পর্যন্ত তারা হল গেট থেকে সরবেন না।
পরে রাত ১২টার দিকে উপাচার্য অধ্যাপক ড. রাশিদ আসকারী হলে এসে ছাত্রীদের সঙ্গে আলোচনায় বসেন। আলোচনার এক পর্যায়ে বিষয়টি মীমাংসা করার জন্য সকাল (১৫ অক্টোবর) পর্যন্ত সময় চান। এসময় উপাচার্য সকালে প্রশাসনের বিভিন্ন কর্তা ব্যক্তিদের সঙ্গে কথা বলে শিক্ষার্থীদের কথা বিবেচনা করে সিদ্ধান্ত নেওয়ার আশ্বাস দিলে ছাত্রীরা নিজ কক্ষে ফিরে যান।
এসময় সেখানে বিশ্ববিদ্যালয়ের কোষাধ্যক্ষ অধ্যাপক ড. সেলিম তোহা, দায়িত্বপ্রাপ্ত অধ্যাপক ড. পরেশ চন্দ্র বর্মণ, হলের হাউজ টিউটর মো. শাহাবুব আলম উপস্থিত ছিলেন। তবে সেখানে হল প্রভোস্ট অধ্যাপক ড. সেলিনা নাসরিন উপস্থিত ছিলেন না বলে জানা যায়।
আন্দোলনকারীদের সূত্রে জানা গেছে, গত ১ অক্টোবর দেশরত্ন শেখ হাসিনা হলের ছাত্রীরা হল প্রভোস্ট অধ্যাপক ড. সেলিনা নাসরিনের বিরুদ্ধে বিভিন্ন অভিযোগ এনে তার পদত্যাগের দাবিতে উপাচার্যের সঙ্গে দেখা করেন। এসময় উপাচার্য আগামী ডিসেম্বর পর্যন্ত হল প্রভোস্টকে রাখার পরামর্শ দিলে ছাত্রীরা তা মেনে নেন।
শিক্ষার্থীরা জানায়, ওইদিন উপাচার্যের কাছে যাওয়ার পর থেকেই হল প্রভোস্ট ড. সেলিনা নাসরীন ছাত্রীদের বিভিন্নভাবে হেনস্তা করছেন। প্রভোস্টের বিরুদ্ধে আন্দোলনে যাওয়ায় ছাত্রীদের পরিবারের সদস্যদের কাছে জানানো হচ্ছে। আন্দোলনরত ছাত্রীদের সিংগেল সিট থেকে ডাবল সিটে পাঠানোর হুমকি এবং শিক্ষার্থীদের বাবা-মা কে নিয়ে বিভিন্ন কটূক্তি করেছেন বলেন জানান তারা।
বাংলাদেশ সময়: ০৬৪৩ ঘণ্টা, অক্টোবর ১৫, ২০১৯
আরএ