মঙ্গলবার (২৮ এপ্রিল) ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. আখতারুজ্জামানের সভাপতিত্বে অনলাইন ভার্চুয়াল মিটিং প্লাটফর্ম জুমের মাধ্যমে প্রভোস্ট কমিটির সভায় এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।
বুধবার (২৯ এপ্রিল) সংবাদ বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে এ সিদ্ধান্ত জানানো হয়।
সভায় উপ-উপাচার্য (শিক্ষা) অধ্যাপক ড. নাসরীন আহমাদ, উপ-উপাচার্য (প্রশাসন) অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ সামাদ এবং কোষাধ্যক্ষ অধ্যাপক ড. মো. কামাল উদ্দীন সংযুক্ত ছিলন।
সভায় করানা ভাইরাস উত্তর সময় শিক্ষার্থীদর স্বাস্থ্য ঝুঁকি ও হলের সামগ্রিক পরিবেশ নিয়ে আলোচনা হয়। এতে পাঁচটি সিদ্ধান্ত নেওয়া হয় সেগুলো হল-বিশ্ববিদ্যালয় খোলার পর শুধুমাত্র বৈধ শিক্ষার্থীরা সংশ্লিষ্ট হলের নীতিমালার আলোকে হল অবস্থান করবে। যাদের ছাত্রত্ব নাই তারা কোনোক্রমেই হলে অবস্থান করতে পারবে না। তাদের হল প্রশাসন কর্তৃক দেওয়া সময়ের মধ্য ব্যক্তিগত জিনিসপত্র নিয় সংশ্লিষ্ট কক্ষ/সিট ছেড়ে দিতে হবে। তীব্র আবাসন সংকট নিরসনে এর বিকল্প নেই।
হলের কোনো কক্ষের মেঝেতে কোনো শিক্ষার্থী অবস্থান করতে পারবে না। প্রয়োজনে, যথাযথ নিয়মে, ডাবলিং করতে পারবে।
হল প্রশাসন যে সব কক্ষ খাট/বেড নাই ছুটিকালীন সে সব কক্ষ নিয়মমাফিক খাট/বেড সরবরাহ করার ব্যবস্থা নেবে।
সভায় অভিমত ব্যক্ত করা হয়, উপরোক্ত সিদ্ধান্তগুলো বাস্তবায়িত হলে দীর্ঘদিনের গড়ে ওঠা কথিত ‘গণরুমের’ অবসান ঘটবে। তবে এই ‘গণরুমের’ অবসান ও ‘যাদের ছাত্রত্ব নেই তাদর হলে অবস্থান না করার’ ব্যাপারে বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্রিয়াশীল ছাত্র সংগঠনগুলোর আন্তরিক সহযোগিতা অত্যাবশ্যক বলেও সভায় অভিমত ব্যক্ত করা হয়।
বিশ্ববিদ্যালয় ছুটিকালীন হল প্রশাসন হলের সংস্কার ও পরিষ্কার পরিচ্ছন্নতার কাজ সম্পন করবে।
বাংলাদেশ সময়: ০৩০৮ ঘণ্টা এপ্রিল ৩০, ২০২০
এসকেবি/আরএ