বৃহস্পতিবার (১১ জানুয়ারি) ভোর সোয়া ৬টার দিকে রাজধানীর কল্যাণপুরের নিজ বাসায় শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন তিনি।
সদ্য প্রয়াত অভিনেতা সিরাজ হায়দারের ছেলে ও নাট্য পরিচালক লেলিন হায়দার বাংলানিউজকে বলেন, ‘আজ (বৃহস্পতিবার) ভোর ৬টা ১৪ মিনিটে মারা যান বাবা।
তিনি জানান, বুধবার রাতে হঠাৎ করে বুকে ব্যথা অনুভব করেন সিরাজ হায়দার। সকালে হাসপাতালে নেওয়ার আগেই মৃত্যুবরণ করেন তিনি।
মৃত্যুকালে স্ত্রী অভিনেত্রী মিনা হায়দার, দুই ছেলে, এক মেয়ে ছাড়াও অসংখ্য গুণগ্রাহী ও আত্মীয়-স্বজন রেখে গেছেন প্রয়াত সিরাজ। তার গ্রামের বাড়ি মুন্সীগঞ্জের মীরকাদিমে।
এদিকে অভিনেতার মৃত্যুর খবরে তার বাসায় ছুটে গেছেন চলচ্চিত্র শিল্পী ও কলাকুশলীরা। বাংলাদেশ চলচ্চিত্র পরিচালক সমিতির সাংগঠনিক সম্পাদক বজলুর রশিদ বাংলানিউজকে বলেন, শ্রদ্ধা জানানোর জন্যে সিরাজ হায়দারের মরদেহ বিএফডিসিতে নেওয়া হবে।
সেখানেই বাদ জোহর তার প্রথম জানাজা অনুষ্ঠিত হবে বলে জানিয়েছেন সংগঠনটির মহাসচিব মুশফিকুর রহমান গুলজার।
অভিনয়ের সঙ্গে পঞ্চাশ বছরের বেশি সময় ধরে জড়িয়ে আছে সিরাজ হায়দারের নাম। ১৯৬২ সালে পূর্ব পাকিস্তান জাতীয় দিবসে টিপু সুলতান নাটকে করিম শাহ চরিত্রে অভিনয়ের মধ্য দিয়ে অভিনয় শুরু করেন ওই সময়ে নবম শ্রেণিতে পড়ুয়া সিরাজ।
দীর্ঘ সময়ে তিনি অভিনয় করেছেন যাত্রা, মঞ্চ, রেডিও, টেলিভিশন এবং চলচ্চিত্রে। মুক্তিযুদ্ধের পর চলচ্চিত্র পরিচালক আবদুল্লাহ আল মামুনের সহকারী হিসেবে ‘জল্লাদের দরবার’ চলচ্চিত্রে কাজ শুরু করেন।
প্রথম অভিনীত চলচ্চিত্রের নাম ‘সুখের সংসার’। নারায়ণ ঘোষ মিতা পরিচালিত এ চলচ্চিত্রে সিরাজ হায়দার খলনায়ক চরিত্রে অভিনয় করেন। মঞ্চ নাটক নির্দেশনা দিয়েছেন মাত্র উনিশ বছর বয়সে।
১৯৭৬ সালে তিনি রঙ্গনা নাট্যগোষ্ঠী প্রতিষ্ঠা করেন এবং অনেকগুলো নাটকের নির্দেশনা দেন। সিরাজ হায়দার দু’টি চলচ্চিত্র পরিচালনাও করেছেন। এদের একটি ‘আদম ব্যাপারী’ যা মুক্তি পায়নি, অন্যটির নাম ‘সুখ’।
বাংলাদেশ সময়: ০৯২০ ঘণ্টা, জানুয়ারি ১১, ২০১৮
জেআইএম/এমএ