ভারতীয় সংবাদমাধ্যম থেকে জানা গেছে, নওয়াজের বিরুদ্ধে জালিয়াতি, ইচ্ছাকৃত ও পরিকল্পিতভাবে মানহানির কথা উল্লেখ করা হয়েছে ওই নোটিশে। পাশাপাশি নওয়াজকে নিয়ে কুৎসা রটনার অভিযোগ উত্থাপন করেও আলিয়াকে নোটিশ পাঠিয়েছেন অভিনেতা।
নোটিশে বলা হয়েছে, নওয়াজউদ্দিন সিদ্দিকী আলিয়ার থেকে নোটিশ পাওয়ার পর নির্ধারিত ১৫ দিনের মধ্যেই জবাব দিয়েছিলেন। দিনটা ছিল চলতি বছরের ১৯ মে। কিন্তু আলিয়া তা আস্বীকার করেন বলে অভিযোগ। এছাড়াও, সম্প্রতি একটি নিউজ পোর্টালের সাথে একটি সাক্ষাৎকারে, আলিয়া অভিযোগ করেছেন যে নওয়াজ টাকা দেওয়া বন্ধ করে দিয়েছেন। তাই বাচ্চাদের স্কুলের বেতনও দিতে পারছেন না আলিয়া।
তবে আলিয়ার উত্থাপিত এসব অভিযোগ সত্যি নয় বলে জানিয়েছেন নওয়াজ। তার দাবি, বাচ্চাদের রক্ষণাবেক্ষণ এবং স্কুলের বেতনের জন্য নিয়মিত টাকা দিচ্ছেন। এমনকি তার প্রমাণও রয়েছে বলে দাবি করেছেন নওয়াজ।
নওয়াজউদ্দিনের আইনজীবী আদনান শেখ বলেন, এখনও আমার ক্লায়েন্ট সহযোগিতা দিয়ে চলেছেন। বাচ্চাদের খরচও সামলাচ্ছেন। নওয়াজ নোটিশের মাধ্যমে স্পষ্ট জানিয়েছেন, আলিয়া যেন তার বিরুদ্ধে কোনও মানহানিকর মন্তব্য না করেন।
আরও পড়ুন: ডিভোর্স চেয়ে নওয়াজউদ্দিন সিদ্দিকীকে স্ত্রীর আইনি নোটিশ
প্রসঙ্গত, আলিয়ার সঙ্গে নওয়াজউদ্দিনের বিয়ে হয় ১০ বছর আগে। বিয়ের সময় তিনি তার পূর্ব নাম অঞ্জনা কিশোর পাণ্ডে ত্যাগ করে নতুন নাম আলিয়া সিদ্দিকী গ্রহণ করেন। বিবাহিত জীবনে তাদের দুই সন্তানও রয়েছে। আলিয়া জানিয়েছেন, বিয়ের প্রথম বছর থেকেই তাদের মধ্যে সমস্যার সূত্রপাত। কিন্তু তখন তিনি বিষয়টিকে আমল দেননি। ভেবেছিলেন সময়ের সাথে ঠিক হয়ে যাবে। তাই সবকিছু মেনে নিয়েছিলেন তিনি। কিন্তু সমস্যা ক্রমশ বাড়তে থাকে।
আলিয়ার অভিযোগ, নওয়াজের পরিবার তার উপর মানসিক ও শারীরিক অত্যাচার করতে শুরু করে। নওয়াজ যেভাবে তার উপর চিৎকার করতেন, তা মেনে নেওয়া যায় না বলে জানান আলিয়া। এছাড়া নওয়াজের বড়ভাই তাকে মারধর করতেন বলে অভিযোগ তার। মুম্বাইয়ে তাদের সঙ্গে নওয়াজের মা, বড়ভাই ও ভাবী থাকতেন। তাই বহু বছর ধরেই তাকে অত্যাচার সহ্য করতে হয়েছে বলে জানান আলিয়া।
বাংলাদেশ সময়: ১৭৫৭ ঘণ্টা, জুন ২৭, ২০২০
ওএফবি/এমকেআর