দেশটির পশ্চিম অংশের এই রাজ্যে সেনাবাহিনীর দ্বারা সাধারণ মানুষের ঘরবাড়িতে অগ্নিসংযোগের ভূস্মিভূত ছবি উঠে এসেছে।
অ্যামনেস্টি বলছে, এই স্যাটেলাইট ছবিই প্রমাণ করে, রাজ্যে নিরাপত্তা বাহিনীর সদস্যরা সাধারণ মানুষের বাড়িঘরে আগুন দিয়েছে।
দেশটিতে অব্যাহত অগ্নিসংযোগ, হত্যা, ধর্ষণের জেরে লাখ লাখ রোহিঙ্গা পাশের দেশ বাংলাদেশে পালিয়ে অবস্থান নিয়েছেন। তাদের সংখ্যা চার লাখের উপরে, বেসরকারিভাবে এই সংখ্যা লাখ পাঁচেক ছাড়িয়েছে।
বিশ্ব সম্প্রদায়, জাতিসংঘসহ বিভিন্ন মানবাধিকার সংগঠন বলছে, মিয়ানমারে রোহিঙ্গা মুসলিমদের নিধন করা হচ্ছে। তবে বেসামরিক নাগরিক লক্ষ্যবস্তু, এমনটি অস্বীকার করে বারেবারে সেনাবাহিনী বলে যাচ্ছে, এটি সন্ত্রাসবাদের বিরুদ্ধে অভিযান।
তবে কেবল গত ২৪ আগস্ট দিনগত রাতে আইনশৃঙ্গলা বাহিনীর চৌকিতে হামলা ছাড়া রাখাইনে তেমন কোনো সন্ত্রাসী তৎপরতাও সেভাবে লক্ষ্য করা যায়নি। উল্টো যাদের সন্ত্রাসী বা জঙ্গি বলা হচ্ছে তাদের সংগঠন আরাকান রোহিঙ্গা স্যালভেশন আর্মি (আরসা) উল্টো যুদ্ধ বিরতির ঘোষণা দিয়েছে, সেটি মানেনি দেশটির সরকার। তারপরও অভিযান চলেছে, মানুষ হত্যা চলেছে। এখন পর্যন্ত সেখানে তিন হাজারের বেশি মানুষকে হত্যার খবর মিলেছে, এই সংখ্যা আরও বেশি হবে বলে ধারণা করা হচ্ছে।
আরসার পক্ষ থেকে বলা হয়েছে, তাদের সঙ্গে আন্তর্জাতিক সন্ত্রাসী নেটওয়ার্কের কোনো ধরনের যোগসূত্র নেই। তারা কেবল অধিকার আদায়ের সংগঠন। মিয়ানমারের রোহিঙ্গাদের রক্ষায় মুসলিমদের একত্রিত হতে আল কায়েদা আহ্বান জানানোর পর আরসার পক্ষ থেকে এ কথা বলা হলো।
অ্যামনেস্টি ইন্টারন্যাশনালের ক্রাইসিস রেসপন্স ডিরেক্টর তিরানা হাসান বলেছেন, স্যাটেলাইটের দ্বারা পাওয়া ছবি, ভিডিও অকাট্য প্রমাণ। সেখানে জাতিগত নিধন চালিয়ে পুরো অঞ্চল রোহিঙ্গামুক্ত করতে চাচ্ছে সেনাবাহিনী নিয়ন্ত্রণাধীন সরকার।
মিয়ানমার সরকার বলছে, এখন পর্যন্ত রাজ্যের অন্তত ৩০ থেকে ৪০ শতাংশ গ্রাম পুরোই খালি হয়েছে।
সহিংসতার নিন্দা জানিয়ে যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্রমন্ত্রী রেক্স টিলারসন বলেছেন, এই সহিংসতা বন্ধ করতে হবে। নিপীড়ন বন্ধ করতে হবে। এমন আর চলতে দেওয়া যায় না।
যা আছে আনান কমিশনের সুপারিশে
বাংলাদেশ সময়: ১০৩৬ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ১৫, ২০১৭
আইএ