নভেম্বরের প্রথম সপ্তাহে তার বাংলাদেশে আসার কথা রয়েছে। যুক্তরাষ্ট্র সফররত পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সভাপতি ডা. দীপু মনির সঙ্গে আলাপে তিনি এ কথা জানিয়েছেন।
প্রমীলা প্যাটেন ঢাকায় নেমে চলে যাবেন কক্সবাজার। কথা বলবেন নির্যাতিতা রোহিঙ্গা নারীদের সঙ্গে। ইতোপূর্বে তিনি জানিয়েছেন, রাখাইনের নির্যাতন বিষয়ে তিনি ওয়াকিবহাল। সেখানে যে নারীদের গণধর্ষণ করা হচ্ছে সে ব্যাপারেও তিনি শুনেছেন।
রোহিঙ্গা নারী নির্যাতনের বিষয়টি ইতোমধ্যেই বিভিন্ন আন্তর্জাতিক সংবাদমাধ্যমে উঠে এসেছে। পালিয়ে আসা বেশির ভাগ নারীই মগ ও সেনাদের হাতে কোনো না কোনোভাবে যৌন হয়রানির শিকার; ধর্ষণের শিকার হয়েছেন সে সংখ্যাও আশঙ্কাজনক।
চলতি বছরের ২৪ আগস্টের পর থেকে অব্যাহত অত্যাচারে এখন পর্যন্ত পালিয়ে আসা রোহিঙ্গার সংখ্যা সোয়া ছয় লাখের কাছাকাছি বলে জাতিসংঘ জানাচ্ছে। বেসরকারি হিসেবে এই সংখ্যা আরও লাখ খানেক বেশি। এছাড়া আগে থেকেই চার লাখের বেশি রোহিঙ্গা কক্সবাজারে থাকেন। এতে মোট রোহিঙ্গা সংখ্যা ১০ লাখ ছাড়িয়েছে।
ঘটনার শুরু গত ২৪ আগস্ট। সে রাতে রাখাইনে পুলিশ ক্যাম্প ও সেনা আবাসে বিচ্ছিন্ন সন্ত্রাসী হামলার ঘটনা ঘটে। এর জেরে ‘অভিযানের’ নামে মিয়ানমারের সেনাবাহিনী নিরস্ত্র রোহিঙ্গা নারী-পুরুষ-শিশুদের ওপর নির্যাতন, ধর্ষণ ও হত্যাযজ্ঞ চালাতে থাকে। ফলে লাখ লাখ মানুষ সীমান্ত পাড়ি দিয়ে বাংলাদেশে নিরাপদ আশ্রয়ের জন্য চলে আসছেন। আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিশ্লেষকরা বলছেন, জাতিগত দ্বন্দ্বের জেরে ২০১৬ সালের অক্টোবর থেকে নতুন করে দেশটির উত্তর-পূর্ব রাখাইন রাজ্যে বসবাসরত মুসলিম রোহিঙ্গা সম্প্রদায়ের ওপর সহিংসতা চালাচ্ছে দেশটির সেনাবাহিনী। গত বছরের অক্টোবরেও প্রায় ৮৭ হাজার রোহিঙ্গা পালিয়ে বাংলাদেশে আশ্রয় নেন।
বাংলাদেশ সময়: ১৪৪০ ঘণ্টা, অক্টোবর ২৬, ২০১৭
আইএ