এ ঘটনায় গণধর্ষণে অভিযুক্ত চার আসামিকে গ্রেফতার করেছিল পুলিশ। পরে আদালত তাদের মৃত্যুদণ্ড দিলে সেটির বিরুদ্ধে আপিল করে দুই আসামি।
বুধবার (১৮ ডিসেম্বর) শুনানি শেষে মৃত্যুদণ্ডের রায় বহাল রাখার ঘোষণা দেন সুপ্রিম কোর্টের তিন বিচারপতির ডিভিশন বেঞ্চ। এদিন আসামিপক্ষে ছিলেন আইনজীবী এপি সিংহ।
এদিকে দীর্ঘ সাত বছর পর যেন স্বস্তি পাচ্ছে নির্ভয়ার পরিবার। কারণ গত সাত বছর ধরে তারা এ মামলা চালিয়ে যাচ্ছে।
আদালত থেকে বেরিয়ে নির্ভয়ার মা আশাদেবী বলেন, আদালতের রায়ে খুশি হয়েছি। মৃত্যুদণ্ড কার্যকর হওয়ার পথে আরও একধাপ এগোলাম।
তবে আদালতের এ রায়ের পরেও রাষ্ট্রপতি রামনাথ কোবিন্দের কাছে প্রাণভিক্ষার আবেদন জানাতে পারবেন আসামি অক্ষয়। আগামী সাত দিনের মধ্যে তিনি এ আবেদন জানাতে পারবেন।
২০১২ সালের ১৬ ডিসেম্বর দিল্লির রাজপথে চলন্ত বাসে প্রেমিকের সামনেই গণধর্ষণের শিকার হন ‘নির্ভয়া’। দু’জনকেই মারধরের পর বাস থেকে ছুড়ে ফেলা হয়। ওই বছরই ২৯ ডিসেম্বর হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মৃত্যু হয় নির্ভয়ার।
এদিকে, ২০১২ সালের ১৮ ডিসেম্বর এ ঘটনায় চার অভিযুক্তকে গ্রেফতার করে পুলিশ। ২১ ডিসেম্বর আরও এক অভিযুক্তকে গ্রেফতার করা হয়। গণধর্ষণ ও হত্যাকাণ্ডের কথা স্বীকার করা হলে ২০১৩ সালের ১৭ জানুয়ারি ফাস্ট ট্র্যাক কোর্টে পাঁচ প্রাপ্তবয়স্ক অভিযুক্তের বিরুদ্ধে মামলা শুরু হয়। ওই বছরের ১১ মার্চ তিহার জেলে মূল আসামি রাম সিং আত্মহত্যা করে।
পরে ২৩ সেপ্টেম্বর অন্য চার আসামিকে মৃত্যুদণ্ডের সাজা দেন ফাস্ট ট্র্যাক কোর্ট। ২০১৪ সালের ১৩ মার্চ নিম্ন আদালতের রায়ই বহাল রাখে দিল্লি হাইকোর্ট। পরে সুপ্রিমকোর্টে এ রায়কে চ্যালেঞ্জ করে মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত দুই আসামি। ২০১৭ সালের ৫ মে মৃত্যুদণ্ডাদেশ বহাল রাখেন সুপ্রিম কোর্ট। ২০১৯ সালের নভেম্বরে সুপ্রিম কোর্টে রায় পুনর্বিবেচনার আরজি জানায় আসামি অক্ষয় কুমার সিংহ। ১৬ ডিসেম্বর রায় পুর্নবিবেচনার জন্য প্রধান বিচারপতির নেতৃত্বে তিন বিচারপতির বেঞ্চ গঠন করা হয়। অবশেষে চার আসামির মৃত্যুদণ্ডাদেশই বহাল রাখলেন সুপ্রিম কোর্ট।
বাংলাদেশ সময়: ১৫১৪ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ১৮, ২০১৯
এফএম/এসএ/