ভারতীয় সংবাদমাধ্যম এনডিটিভি জানায়, হামলার খবর ছড়িয়ে পড়তেই মুম্বাইয়ের শতাধিক শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের ছাত্র-ছাত্রীরা রাস্তায় নেমে আসেন। তারা ‘ইন্ডিয়া গেট’-এ অবস্থান নিয়ে হামলাকারীদের বিরুদ্ধে দ্রুত ব্যবস্থা নেওয়ার দাবি জানান।
এ হামলায় ভারতের হিন্দুত্ববাদী সংগঠন রাষ্ট্রীয় স্বয়ংসেবক সংঘ (আরএসএস) সমর্থিত এভিবিপি’কে দায়ী করেছেন অনেকে। হামলার সময় পুলিশ নিষ্ক্রিয় থেকে তাদের সহযোগিতা করেছে বলেও অভিযোগ উঠেছে।
ভিন্নমতের ছাত্র-শিক্ষকদের ওপর নৃশংস হামলার অভিযোগে রোববার রাত থেকেই বিক্ষোভে উত্তাল হয়ে উঠেছে ভারতের বিভিন্ন প্রান্ত।
ভুক্তভোগী জেএনইউ শিক্ষার্থীদের প্রতি সহমর্মিতা জানিয়ে ও দোষীদের সাজার দাবিতে রাতে মোমবাতি মিছিল করেছেন আলিগড় মুসলিম বিশ্ববিদ্যালয়ের শত শত শিক্ষার্থী। তাৎক্ষণিক বিক্ষোভ করেছেন হায়দ্রাবাদের শিক্ষার্থীরাও। পুনেতে ফিল্ম অ্যান্ড টেলিভিশন ইনস্টিটিউট অব ইন্ডিয়া ও কলকাতায় যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরাও শেষরাতে বিক্ষোভ করেছেন।
জেএনইউ শিক্ষার্থী ও ফ্যাকাল্টি সদস্যরা অভিযোগ করেছেন, পুলিশ ও বেসরকারি নিরাপত্তা কর্মকর্তারা ক্যাম্পাসে হামলার সময় নীরব দর্শক হয়ে ছিলেন। এমনকি হামলার পর মুখোশধারীদের পালিয়ে যেতে দেওয়া হয়েছে বলেও অভিযোগ উঠেছে তাদের বিরুদ্ধে।
এ ঘটনায় দিল্লিতে পুলিশ সদর দপ্তরের বাইরেও বিক্ষোভ করেছেন শত শত মানুষ।
এর আগে, রোববার রাতে জেএনইউ ক্যাম্পাসে ঢুকে হামলা চালায় সশস্ত্র মুখোশধারীরা। তারা হোস্টেলের প্রতিটি রুমে ঢুকে সেখানে অবস্থানরতদের মারধর করে। এসময় ১২ শিক্ষকসহ প্রায় অর্ধশত শিক্ষার্থী আহত হন। এদের মধ্যে তিনজনের অবস্থা আশঙ্কাজনক বলে জানা গেছে।
বাংলাদেশ সময়: ১০০১ ঘণ্টা, জানুয়ারি ০৬, ২০২০
একে