আগামী ১ মার্চ হতে সরকারি এবং ২ মার্চ হতে বেসরকারি ব্যবস্থাপনায় হজযাত্রীদের নিবন্ধন শুরু হবে। উভয় ক্ষেত্রেই ১৫ মার্চ পর্যন্ত নিবন্ধন করতে পারবেন প্রাক-নিবন্ধনকারীরা।
ধর্ম মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, সরকারি ব্যবস্থাপনায় সব প্রাক-নিবন্ধিত ব্যক্তি এবং ৬ লাখ ১৮ হাজার ২৫৯ ক্রমিক পর্যন্ত বেসরকারি ব্যবস্থাপনায় হজযাত্রীদের নিবন্ধন করতে পারবেন।
উভয় ক্ষেত্রেই পাসপোর্টর মেয়াদ ২০২১ সালের ১ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত পাসপোর্টর মেয়াদ থাকতে হবে বলে জানিয়েছে ধর্ম মন্ত্রণালয়।
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সভাপতিত্বে গত ২৪ ফেব্রুয়ারি মন্ত্রিসভার বৈঠকে হজ প্যাকেজ অনুমোদন দেওয়া হয়। এবার সরকারি ব্যবস্থাপনায় একটি বাড়িয়ে তিনটি হজ প্যাকেজ অনুমোদন করেছে সরকার। এছাড়া বেসরকারি ব্যবস্থাপনায় একটি প্যাকেজ অনুমোদন করা হয়েছে।
সরকারি ব্যবস্থাপনার প্যাকেজ-১ এর মোট ৪ লাখ ২৫ হাজার টাকার প্রস্তাব করা হয়েছে, যা গত বছরের তুলনায় ৬ হাজার ৫০০ টাকা বেশি। প্যাকেজ-২ এর মোট ৩ লাখ ৬০ হাজার টাকার প্রস্তাব করা হয়েছে, যা গত বছরের তুলনায় ১৬ হাজার টাকা বেশি। সরকারি ব্যবস্থাপনার জন্য ২০২০ সালে প্রথমবারের মতো ৩ লাখ ১৫ হাজার নতুন প্যাকেজ-৩ এর প্রস্তাব করা হয়েছে।
পড়ুন>> বেসরকারি ব্যবস্থাপনায় ২ হজ প্যাকেজ
সরকারি ব্যবস্থাপনার প্যাকেজ-১ এর হজযাত্রীরা পবিত্র মসজিদুল হারাম চত্বরের সীমানা থেকে সর্বোচ্চ ৭০০ মিটারের মধ্যে, প্যাকেজ-২ এর হজযাত্রীরা সর্বোচ্চ ১৫০০ মিটারের মধ্যে এবং প্যাকেজ-৩ এর হজযাত্রীরা ১৫০০ মিটারের অধিক দূরত্বে অবস্থান করবেন।
বেসরকারি ব্যবস্থাপনার হজযাত্রীর জন্য ৩ লাখ ৫৮ হাজার টাকার প্যাকেজ প্রস্তাব করা হয়েছে। বেসরকারি ব্যবস্থাপনার হজ এজেন্সি সরকারি ব্যবস্থাপনার প্যাকেজ-১, প্যাকেজ-২ ও প্যাকেজ-৩ এর সঙ্গে সামঞ্জস্য রেখে একাধিক প্যাকেজ ঘোষণা করতে পারবে।
বৃহস্পতিবার সংবাদ সম্মেলনে বেসরকারি ব্যবস্থাপনায় হজ প্যাকেজ ঘোষণা করেন হজ এজেন্সিস অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ (হাব) এর সভাপতি এম শাহাদাত হোসাইন তসলিম।
পড়ুন>>বেসরকারি ব্যবস্থাপনায় হজ নিবন্ধন শুরু ২ মার্চ
তিনি জানান, হজযাত্রী নিবন্ধনের সময় বিমান ভাড়া বাবদ এক লাখ ৩৮ হাজার টাকাসহ সর্বনিম্ন এক লাখ ৫২ হাজার ১৯০ টাকা জমা দিয়ে নিবন্ধন করতে হবে। তবে হজযাত্রীদের আগামী ৩০ মার্চের মধ্যে প্যাকেজ মূল্যের পুরো টাকা অবশ্যই সংশ্লিষ্ট হজ এজেন্সিকে পরিশোধ করতে হবে।
বেসরকারিভাবে 'সাধারণ' প্যাকেজের মাধ্যমে এবার হজ পালনে ব্যয় হবে ৩ লাখ ৬১ হাজার ৮০০ টাকা ও 'ইকোনোমি' প্যাকেজের মাধ্যমে ব্যয় হবে ৩ লাখ ১৭ হাজার টাকা।
দামি প্যাকেজটি সুযোগ-সুবিধার উপর ভিত্তি করে হজ এজেন্সিগুলো ঘোষণা করবে বলে সংবাদ সম্মেলনে জানানো হয়।
সৌদি আরবে চাঁদ দেখা সাপেক্ষে আগামী ৯ জিলহজ বা ৩০ জুলাই পবিত্র হজ অনুষ্ঠিত হবে।
হজযাত্রীর বিমান ভাড়া, সৌদি আরবের বাড়ি ভাড়া, সার্ভিস চার্জ, মুয়াল্লিম ফি, জমজমের পানি, খাবার খরচ এবং অন্যান্য ফি হিসাব করে ২০২০ সালের জন্য সরকারি ব্যবস্থাপনার জন্য তিনটি প্যাকেজ এবং বেসরকারি ব্যবস্থাপনার এজেন্সিসমূহের জন্য একটি প্যাকেজের প্রস্তাব করা হয়েছে।
চুক্তি মোতাবেক বাংলাদেশ থেকে এ বছর সরকারি ব্যবস্থাপনায় ১৭ হাজার ১৯৮ জন ও বেসরকারি ব্যবস্থাপনায় ১ লক্ষ ২০ হাজার জনসহ মোট ১ লাখ ৩৭ হাজার ১৯৮ জন হজযাত্রী হজ পালনের জন্য সৌদি আরব গমনের সুযোগ পাবেন।
বাংলাদেশ সময়: ১৮৪৪ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ২৭, ২০২০
এমআইএইচ/এমএ