ঢাকা, মঙ্গলবার, ১১ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৬ নভেম্বর ২০২৪, ২৪ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

আইন ও আদালত

মঞ্জুর হত্যা মামলার অধিকতর তদন্ত প্রতিবেদন ২ অক্টোবর

স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৮৫৮ ঘণ্টা, আগস্ট ২৬, ২০১৯
মঞ্জুর হত্যা মামলার অধিকতর তদন্ত প্রতিবেদন ২ অক্টোবর

ঢাকা: বহুল আলোচিত মেজর জেনারেল আবুল মঞ্জুর হত্যা মামলায় ২৬ আগস্ট (সোমবার) ধার্য তারিখে অধিকতর তদন্ত প্রতিবেদন দেয়নি পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগ (সিআইডি)। এজন্য ২ অক্টোবর (বুধবার) নতুন দিন ধার্য করেছেন আদালত।

সোমবার ঢাকার পুরাতন কেন্দ্রীয় কারাগারের পাশে স্থাপিত অস্থায়ী ঢাকার প্রথম অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ শরীফ এ এম রেজা জাকের নতুন এ দিন ধার্য করেন।

এ মামলার অধিকতর তদন্ত প্রতিবেদন দাখিলের জন্য সোমবার দিন ধার্য ছিলো

এর আগে আলোচিত এ মামলার তদন্ত কর্মকর্তা হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন সিআইডির বিশেষ পুলিশ সুপার আব্দুল কাহার আকন্দ।

২০১৪ সালের ১০ ফেব্রুয়ারি রায় ঘোষণার দিন ধার্য ছিল। রায় ঘোষণার আগে তৎকালীন বিচারক হোসেনে আরা আকতারকে বদলি করা হয়। পরে রাষ্ট্রপক্ষের আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে আদালত মামলাটিতে অধিকতর তদন্তের আদেশ দেন।  

এ মামলার আসামিরা হলেন- সাবেক রাষ্ট্রপতি হুসেইন মুহম্মদ এরশাদ (গত ১৪ জুলাই তিনি মারা যান), মেজর (অব.) কাজী এমদাদুল হক ও লে. কর্নেল (অব.) মোস্তফা কামাল উদ্দিন ভূঁইয়া।

পাঁচ আসামির মধ্যে হাইকোর্টের নির্দেশে স্থগিত আছে মেজর জেনারেল (অব.) আব্দুল লতিফ ও লে. কর্নেল (অব.) শামসুর রহমান শামসের বিরুদ্ধে মামলার কার্যক্রম।

১৯৮১ সালের ৩০ মে চট্টগ্রামে এক সেনা অভ্যুত্থানে তৎকালীন রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমান নিহত হন। তখন চট্টগ্রামে সেনানিবাসের ২৪তম পদাতিক ডিভিশনের জেনারেল অফিসার স্টাফ (জিওসি) ছিলেন মোহাম্মদ আবুল মঞ্জুর।

জিয়াউর রহমান নিহত হওয়ার পর আত্মগোপনে যাওয়ার পথে মঞ্জুরকে আটক করে পুলিশ। এরপর ওই বছরের ২ জুন তাকে পুলিশের হেফাজত থেকে চট্টগ্রাম সেনানিবাসে নিয়ে গুলি করে হত্যা করা হয়।  

হত্যাকাণ্ডের ১৪ বছর পর ১৯৯৫ সালের ২৮ ফেব্রুয়ারি জেনারেল মঞ্জুরের বড় ভাই ব্যারিস্টার আবুল মনসুর আহমেদ বাদী হয়ে চট্টগ্রামের পাঁচলাইশ থানায় এ হত্যা মামলা করেন।  

ওই বছরের ২৭ জুন এ মামলার তদন্ত কর্মকর্তা সিআইডির তৎকালীন সহকারী পুলিশ সুপার আবদুল কাহার আকন্দ আদালতে অভিযোগপত্র দেন। তাতে সাবেক রাষ্ট্রপতি হুসেইন মুহম্মদ এরশাদসহ পাঁচজনকে আসামি করা হয়। পরে এ মামলার অধিকতর তদন্তও করেন আবদুল কাহার আকন্দ। সম্প্রতি তদন্ত কর্মকর্তা পরিবর্তন করা হয়েছে।

এদিকে ১৯৯৫ সালের ১১ জুন কারাগারে থাকা এইচএম এরশাদকে এ মামলায় গ্রেফতার দেখানো হয়। তবে বর্তমানে এরশাদসহ আসামিরা সবাই জামিনে রয়েছেন।  

২০১৪ সালের ১০ ফেব্রুয়ারি রায় ঘোষণার দিন ধার্য ছিল। কিন্তু রায় ঘোষণার আগে তৎকালীন বিচারক হোসেনে আরা আকতারকে বদলি করা হয়। পরে মামলাটি বিচারের দায়িত্ব পান দ্বিতীয় অতিরিক্ত জেলা জজ হাসান মাহমুদ ফিরোজ।

হাসান মাহমুদ ফিরোজের আগে গত ১৯ বছরে বিভিন্ন সময়ে ২২ জন বিচারক এ মামলাটিতে বিচারক হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছেন।

মঞ্জুর হত্যা মামলায় মোট ৪৯ জন সাক্ষীর মধ্যে ২৮ জনের সাক্ষ্যগ্রহণ করা হয়েছে। সাক্ষ্যগ্রহণ শেষ হওয়ার পর ২০১২ সালের ২ অক্টোবর আত্মপক্ষ সমর্থন করে নিজেকে নির্দোষ দাবি করেন এরশাদ।  

বাংলাদেশ সময়: ১৪৫৭ ঘণ্টা, আগস্ট ২৬, ২০১৯
এমএআর/জেডএস

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।