যোগ্য দল হিসেবেই সেমিতে গেছে টাইগাররা, যার প্রতিদান তারা দেবেই। পূর্ণ সমর্থন প্রিয় ক্রিকেট দলের প্রতি।
চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফির সেমিফাইনালকে ঘিরে শহর-মফস্বলের পাশাপাশি উত্তেজনা বাংলার প্রত্যন্ত গ্রামেও বিরাজ করছে। সকাল থেকেই মোড়ে মোড়ে আড্ডা জমেছে ক্রিকেট নিয়ে। কেউ কেউ তো ধরেই নিয়েছেন পাকিস্তানের সঙ্গে ফাইনাল খেলছে টিম বাংলাদেশ!
এমন বিশ্বাস অমূলক নয়, দৃঢ় বিশ্বাস নিয়েই জয়ের কথা বললেন রংপুরের মিঠাপুকুরের এইচএসসি ফলপ্রার্থী ইসমাইল হোসেন। বাংলানিউজকে তিনি বলেন, হাড্ডাহাড্ডি লড়াই হবে। তখন যে রেজাল্টই আসুক কোনো সমস্যা নেই।
তবে লড়াইয়ে দ্বিধা দেখছেন ব্যাটারিচারিত রিকশা চালক মো. দুলাল মিয়া। তিনি বলেন, ভারতের সঙ্গে খেলা বলেই ভয়! এই দলের সঙ্গে ভয় যেন আম্পায়ারদেরও! আউট হলেও তারা চাকরি বাঁচাতে তা যদি আটকে দেন তবে জয় কীভাবে সম্ভব! কারণ অতীত তো তাই বলে।
রমজান মাস হওয়ায় দিনে চা-পানের দোকানে বিক্রি নেই। স্থানটা মিঠাপুকুর শাপলা মার্কেট, জমেছে আড্ডা। স্বভাবতই তা খেলা নিয়ে। কে জিতবে জিজ্ঞেস করতেই গাড়ি চালক বেলায়েত হাত দিয়ে দেখালেন ''ভি'' (ভিক্টরি) প্রতীক।
গরুর ব্যবসায়ী তায়েব তখন বললেন, ভয় নেই। জয় হবেই। পাশে থাকা অটো চালক মো. মাহবুবও হাঁক মেরে সংযুক্ত হন, ভয় তো ভারতের। আমরা খেলবো ওরা হারবে। শুধু সাকিব-রিয়াদ নয়, আজ সবাই মিলে খেলবে।
নবম শ্রেণিতে পড়ুয়া মমিনুল বলেন, জয়টা ফরজ। অধিনায়ক মাশরাফিকে একটা কাপ দিতে হবে না!
লাল মিয়া, পান বিক্রেতা তাতে মিটিমিটি হাসেন। বললেন, গ্রামবাসী জয় চায়, শহরবাসী জয় চায়। কে না চায় বাংলাদেশ ফাইনালে যাক। আমরা ফাইনালে গেলে শিরোপা জিতেই যাবো- এর কোনো বিকল্প নেই। কিন্তু মাঠের কাজটা তো করে দেখাতে হবে ওদের ১১ জনকেই।
বাংলাদেশ সময়: ১২৪৪ ঘণ্টা, জুন ১৫, ২০১৭
আইএ/বিএস