এ অনুষ্ঠানের কারণেই গ্রন্থাগার কম্পাউন্ডের ভেতরে লোকজনের আনাগোনা, মূল ফটকটিও খোলা।
অনুষ্ঠানের আয়োজকরা জানান, বিভাগীয় সরকারি গণগ্রন্থাগারের সেমিনার কক্ষ হলেও এখানে শীতাতপ নিয়ন্ত্রণের ব্যবস্থা নেই, নেই পর্যাপ্ত আলো, সাউন্ড সিস্টেম, বিশুদ্ধ খাবার পানিও।
বিশুদ্ধ পানির জন্য একমাত্র ফিল্টারটি নষ্ট রয়েছে বলে স্বীকার করে বন্ধের দিনে দায়িত্ব পালনকারী কেয়ারটেকার শ্যামল চন্দ্র কর্মকার বলেন, ‘কলসে পানি ও জগ-গ্লাস দেওয়া হয়েছে। ১৭০ আসনের সেমিনার কক্ষের টিউবলাইট ও ফ্যান, নারী-পুরুষদের জন্য আলাদা বাথরুম দু’টিও ঠিক রয়েছে। তবে পাশের ছোট লাইটের স্ট্যান্ডগুলোতে বাতি নেই।
তিনি বলেন, এখানে গণগ্রন্থাগারের নিজস্ব প্রজেক্টর থাকলেও সাউন্ড সিস্টেম নেই। জেনারেটর নষ্ট থাকায় বিকল্প বিদ্যুৎ ব্যবস্থাও নেই।
তবে অনুষ্ঠানের আয়োজক জাহিদ জানান, অল্প ভাড়ায় এ সেমিনার কক্ষটি ব্যবহার করতে পারছেন তারা। এ এলাকায় তেমন কোনো হলরুম বা অডিটোরিয়ামও নেই।
গ্রন্থাগার ঘুরে দেখা গেছে, চারতলা ভবনের বাইরের বেশিরভাগ দেয়ালেরই রং ও পলেস্তাঁরা খসে খসে পড়ছে। কম্পাউন্ডের ভেতরের ল্যাম্পপোস্টগুলো মরিচা পড়ে নষ্ট হয়ে গেছে, এগুলোতে বাতিরও ব্যবস্থা নেই। ভবনের নিচতলার গাড়ি পার্কিংয়ের জায়গায় ময়লার স্তুপ পড়ে রয়েছে।
অবশ্য মূল সড়ক থেকে কম্পাউন্ডে যাওয়ার পরিস্কার-পরিচ্ছন্ন রাস্তাটির দুই পাশে রয়েছে সারিবদ্ধ বিভিন্ন ধরনের গাছ।
ভবনের গ্রন্থাগারে যাওয়ার সিঁড়ির গেট তালাবদ্ধ থাকলেও সেমিনার কক্ষের গেট খোলা। অনুষ্ঠানের শেষ হলে মূল ফটকেও তালা লাগবে। এরপর সেখানে বাইরের আর কাউকে পাওয়া যাবে না- নিশ্চিত করে জানান কেয়ারটেকার শ্যামল।
গ্রন্থাগার ভবনের পেছনে টিনশেড একটি বাড়িতে কেয়ারটেকারসহ ৪টি পরিবার থাকে। মূলত তারাই দিনে-রাতে গ্রন্থাগারটি দেখে-শুনে রাখেন। এখানকার বাসিন্দা ও গণগ্রন্থাগারের চেকপোস্ট অ্যাসিস্ট্যান্ট মাহাবুব জানান, সরকারি ছুটির দিন ছাড়াও বৃহস্পতি ও শুক্রবার গণগ্রন্থাগারের সাপ্তাহিক ছুটি। লাইব্রেরিয়ান পদ থাকলেও সেটি শূন্য থাকায় উপ-পরিচালক সম্পূর্ণ দেখ-ভাল করেন।
নগরের বিএম কলেজ রোডের এ বিভাগীয় সরকারি গণগ্রন্থাগারে শিশুদের জন্য আলাদা পাঠকক্ষ, বিজ্ঞান, মানবিক ও ব্যবসায় শিক্ষা বিভাগের আলাদা আলাদা পাঠকক্ষ এবং গণ পাঠকক্ষ রয়েছে।
আরও খবর...
** ‘জনবল ও অর্থ সংকটে’ বাংলা একাডেমি গ্রন্থাগার
** খুলনা বিভাগীয় গণগ্রন্থাগারের দুর্দশা চরমে
** ময়মনসিংহের আলোর পাঠশালায় দু’দিন তালা!
** গরুর অভ্যর্থনা মৌলভীবাজার গণগ্রন্থাগারে!
** ফেনীর পাবলিক লাইব্রেরি প্রাঙ্গণে জম্পেশ আড্ডা
** মানিকগঞ্জ সরকারি গণগ্রন্থাগার কুকুরের বিচরণক্ষেত্র!
** সপ্তাহে ৩ দিনই ছুটি দিনাজপুর পাবলিক লাইব্রেরিতে!
** জাতীয় গ্রন্থকেন্দ্রে বই আছে, পাঠক নেই!
বাংলাদেশ সময়: ০৯১৬ ঘণ্টা, এপ্রিল ২৮, ২০১৭
এমএস/এএসআর