এই লাইব্রেরির অবস্থান জেলা শহরের মিশন রোডে, বড় ময়দানের পশ্চিম প্রান্তে। বৃহস্পতিবার (২৭ এপ্রিল) সরেজমিন গিয়ে যথারীতি লাইব্রেরি বন্ধ দেখা গেলো।
এ লাইব্রেরির নিয়মিত পাঠক মো. তোফায়েল আহমেদ বাংলানিউজকে বলেন, গত তিন বছর ধরে এই লাইব্রেরি সপ্তাহে দু’দিনই বন্ধ থাকে। দেরিতে খুলে তাড়াতাড়ি বন্ধ করে দেওয়ায় শনিবারটাকেও ছুটির মধ্যেই ফেলা যায়। তারওপর কম্পিউটার ও ইন্টারনেট সংযোগ থাকলেও সাধারণ পাঠকরা তা ব্যবহার করতে পারেন না। এখানকার কম্পিউটার প্রায়শই নষ্ট থাকে।
আর এক নিয়মিত পাঠক বেলাল হোসেন বলেন, এ লাইব্রেরিতে বইয়ের কালেকশন আরো ভালো হওয়া দরকার। এলাকার রাজা-মহারাজা থেকে শুরু করে মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাস ভিত্তিক বই প্রয়োজন। আর প্রতিদিনই এই লাইব্রেরি খোলা রাখা দরকার।
লাইব্রেরিয়ান মো. নুরুল ইসলাম বাংলানিউজকে বলেন, সরকারি ব্যবস্থাপনায় পরিচালিত জেলার একমাত্র গণগ্রন্থাগারে সরকারিভাবে ৯টি দৈনিক জাতীয় ও একটি আঞ্চলিক দৈনিক পত্রিকা কেনা হয়। কম্পিউটারের সঙ্গে রয়েছে ইন্টারনেট সংযোগ। পাঠকদের জন্য আসন রয়েছে ৭২টি। এখানে মজার মজার গল্প-উপন্যাস, ইতিহাস-ঐতিহ্য ও প্রকৃতি বিষয়ক বিভিন্ন বই রয়েছে।
প্রতিদিন গড়ে দেড়শ’ থেকে দু’শ’ পাঠক এখানে আসেন বলেও জানান নুরুল ইসলাম। এদের মধ্যে অন্তত ৩০ জন নিয়মিত পাঠক জানিয়ে তিনি বলেন, এখানে স্থানীয়ভাবে বই কেনার জন্য কোন বরাদ্দ নেই। বইসহ সব সরঞ্জাম ঢাকা থেকে পাঠানো হয়।
আরও খবর...
** ‘জনবল ও অর্থ সংকটে’ বাংলা একাডেমি গ্রন্থাগার
** খুলনা বিভাগীয় গণগ্রন্থাগারের দুর্দশা চরমে
** ময়মনসিংহের আলোর পাঠশালায় দু’দিন তালা!
** বরিশাল গণগ্রন্থাগারের সেমিনার কক্ষও বেহাল!
** গরুর অভ্যর্থনা মৌলভীবাজার গণগ্রন্থাগারে!
** ফেনীর পাবলিক লাইব্রেরি প্রাঙ্গণে জম্পেশ আড্ডা
** মানিকগঞ্জ সরকারি গণগ্রন্থাগার কুকুরের বিচরণক্ষেত্র!
** জাতীয় গ্রন্থকেন্দ্রে বই আছে, পাঠক নেই!
বাংলাদেশ সময়: ০৯৪ি৮ ঘণ্টা, এপ্রিল ২৮, ২০১৭
জেডএম/